Second highest Land Owner in India: ভারতের প্রতিটি রাজ্যে আছে জমি, সব মিলিয়ে ১৭ কোটি একর! কত টাকার মালিক জানেন?
Second highest Land Owner in India: ভারতে সবথেকে বেশি জমির মালিক ভারত সরকার। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের হাতে প্রচুর জমি রয়েছে। সবথেকে বেশি জমি রয়েছে রেল মন্ত্রকের হাতে। অনেকেই মনে করেন, সরকারের পরই বোধহয় সবথেকে বেশি জমির মালিক ওয়াকফ বোর্ড। কিন্তু, সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, সরকারের পরই ভারতে সবথেকে বেশি জমির মালিক হল...
নয়া দিল্লি: ভারতে সবথেকে বেশি জমির মালিক ভারত সরকার। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের হাতে প্রচুর জমি রয়েছে। সবথেকে বেশি জমি রয়েছে রেল মন্ত্রকের হাতে। অনেকেই মনে করেন, সরকারের পরই বোধহয় সবথেকে বেশি জমির মালিক ওয়াকফ বোর্ড। কিন্তু, সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, সরকারের পরই ভারতে সবথেকে বেশি জমির মালিক হল দ্য ক্যাথলিক চার্চ অব ইন্ডিয়া। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত সরকারের হাতে জমি রয়েছে প্রায় ১৫,৫৩১ বর্গকিলোমিটার। এই জমি রয়েছে সরকারি ১১৬টি সংস্থা এবং ৫১টি মন্ত্রকের নামে। আর, ক্যাথলিক চার্চ অব ইন্ডিয়ার হাতে, দেশব্যাপী ১৭.২৯ কোটি একর জমি রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জমিগুলিতে গির্জা, কলেজ এবং স্কুল-সহ অসংখ্য ভবন রয়েছে। তাদের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা বলে অনুমান করা হয়।
ক্যাথলিক চার্চ তাদের মালিকানাধীন বেশিরভাগ জমিই পেয়েছিল ১৯৪৭ সালের আগে, ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে। ১৯২৭-এ ভারতীয় গির্জা আইন পাস হয়েছিল। এর ফলে বিপুল পরিমাণ জমির মালিকানা পেয়েছিল ক্যাথলিক চার্চ। গোয়া থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজ্যগুলি পর্যন্ত, প্রায় সমগ্র ভারত জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে চার্চের মালিকানাধীন এই জমিগুলি। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে। ১৯৬৫ সালে ভারত সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল, ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষকে ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত জমির ইজারা দিয়েছে, সেগুলি ক্যাথলিক চার্চের জমি বলে স্বীকার করা হবে না। তবে, সেই নির্দেশনা কাগজেই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবে তা মেনে চলা হয়নি। ফলের চার্চের হাতে থাকা বহু জমির বৈধতা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
ভারতে ক্যাথলিক চার্চগুলি পরিচালনা করে ‘ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া’ বা সিবিসিআই (CBCI)। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃপক্ষের আওতায় ২৪৫৭টি হাসপাতাল, ২৪০টি মেডিকেল বা নার্সিং কলেজ, ২৮টি সাধারণ কলেজ, ৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ২৭৬৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৩১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩১৮৭টি নার্সারি স্কুল ছিল।