
নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। আর তিন দিন পর তিলোত্তমাকে নৃশংসভাবে হত্যার এক বছর পূর্ণ হবে। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বললেন, গত সাত মাসে সিবিআই মামলার কোনও স্টেটাস রিপোর্ট দেয়নি। একইসঙ্গে গতকাল নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, শীর্ষ আদালতের গড়ে দেওয়া জাতীয় টাস্ক ফোর্স (NTF)-কে তাদের তরফে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যেসব পরামর্শ আসছে, এনটিএফ সেগুলি খতিয়ে দেখছে।
গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় জুনিয়র ডাক্তার তিলোত্তমাকে। সেই খুনকে ঘিরে শোরগোল পড়ে রাজ্যে। নিম্ন আদালত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিলোত্তমার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুনে একজন জড়িত নয়। আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চে তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন। কিন্তু গত সাতমাসে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দেয়নি।”
এদিকে, গত বছর আরজি কর কাণ্ডের পরই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে পদক্ষেপের জন্য ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স(NTF) গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী রেজিস্ট্রির তরফে ইমেইল আইডি দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যে সমস্ত পরামর্শ এসেছে, সেগুলি এনটিএফ খতিয়ে দেখেছে। তিলোত্তমার পরিবার জানায়, তাদের তরফেও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা শুনে শীর্ষ আদালত জানায়, বিভিন্ন পক্ষের তরফে যে সব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে এনটিএফ-কে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ অক্টোবর।