শ্রীনগর: বেআইনিভাবে বন্দুকের লাইলেন্স বিক্রির তদন্তে সকাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে ২২টি জায়গায় হানা দিল সিবিআই। জম্মু-কাশ্মীরের আইএএস অফিসার শহিদ ইকবাল চৌধুরির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে বেআইনিভাবে কমপক্ষে দুই লক্ষ বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ভারতে এখনও অবধি এটিই সবথেকে বড় বন্দুকের লাইসেন্স সম্পর্কিত দুর্নীতি। ২০১৭ সালে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড প্রথমবার এই দুর্নীতি সকলের সামনে তুলে ধরে। গতবছরই আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জন সহ দুই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক শীর্ষ কর্তারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
Jammu and Kashmir: A Central Bureau of Investigation (CBI) raid is underway at govt quarters in Tulsi Bagh area of Srinagar city in connection with arms/gun licence scam. Details awaited.
Visuals from the spot. pic.twitter.com/x5PcfuV7Ul
— ANI (@ANI) July 24, 2021
২০১৭ সালে যখন বেআইনি লাইসেন্সের বিষয়টি সামনে আসে, তখন আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জনের ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল একাধিক “মিডলম্যান”কে, যারা বেআইনি লাইসেন্স জোগাড় করে দিত। রাজীব রঞ্জনও কুপওয়ারা জেলার ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীন একাধিক বন্দুকের বেআইনি লাইসেন্স বের করেছিলেন।
তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে অভিযুক্ত আধিকারিকদের আড়াল করার একাধিক প্রচেষ্টা করা হলেও রাজ্যপাল এনএন ভোরা সিবিআই-র হাতে তদন্তভার তুলে দেন। তদন্তভার হাতে নিয়েই একাধিক আধিকারিককে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে কমপক্ষে আটজন প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনারও সিবিআইয়ের নজরাধীন রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা চক্রান্তের শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে।