Census Notification: দেশে জনগণনা শুরুর দিন ঘোষণা কেন্দ্রের, জাতিগণনা হবে কি?
Census Notification: প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। কিন্তু, এর আগে শেষবার ২০১১ সালে জনগণনা হয়েছিল। ২০২১ সালের করোনার জন্য জনগণনা পিছিয়ে যায়। ফলে ১৫ বছর পর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হবে।

নয়াদিল্লি: দেড় দশক পর দেশে ফের জনগণনা হতে চলেছে। দেশে জনগণনা নিয়ে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে দিল, দেশে কবে থেকে জনগণনা শুরু হবে। প্রথমে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও দুটি রাজ্যে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে জনগণনা শুরু হবে। এরপর দেশের বাকি অংশে ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে জনগণনা শুরু হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যে দুই দফায় জনগণনা হবে।
প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। কিন্তু, এর আগে শেষবার ২০১১ সালে জনগণনা হয়েছিল। ২০২১ সালের করোনার জন্য জনগণনা পিছিয়ে যায়। ফলে ১৫ বছর পর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হবে।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার জনগণনার সঙ্গে জাতিগণনাও হবে। সেটাই হতে চলেছে এবারের জনগণনায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবরের মধ্যরাত থেকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরে জনগণনা শুরু হবে। এর পাশাপাশি ওইদিন থেকে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও জনগণনা শুরু হবে। দেশের বাকি অংশে জনগণনা শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ মার্চের মধ্যরাত থেকে।
প্রত্যেক রাজ্যে দু’দফায় জনগণনা হবে। প্রথম দফায় প্রত্যেক পরিবারের জীবনযাত্রার মান, সম্পত্তি ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর দ্বিতীয় দফায় জনসংখ্যা গণনা করা হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর এই দ্বিতীয় দফাতেই প্রত্যেকের জাতি সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি জারির আগে এদিন জনগণনার প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যালোচনা বৈঠক করেন। যে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনা এবং অন্য পদস্থ কর্তারা অংশ নিয়েছিলেন।





