দূরত্ববিধি না মানলে এক আক্রান্ত ভোগাতে পারেন ৪০৬ জনকে, বলছে আইসিএমআর
শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় না রাখলে একজন করোনা আক্রান্ত ৩০ দিনের ব্যবধানে কমপক্ষে ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারে।
নয়া দিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসল হাতিয়ারই হচ্ছে সামাজিক দূরত্ববিধি। না হলেই সর্বনাশ। দূরত্ববিধি পালন না করলে কোভিডের এই ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সেটা এ দিন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় না রাখলে একজন করোনা আক্রান্ত ৩০ দিনের ব্যবধানে কমপক্ষে ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারে।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিতে সোমবার একটি সংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। আইসিএমআর-র একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে সেখানে দাবি করা হয়, “শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় না রাখলে একজন করোনা আক্রান্ত ৩০ দিনের মধ্যে ৪০৬ জন ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।” রবিবার এইমসের পক্ষ থেকেও একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়, করোনার যে ভারতীয় মিউট্যান্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে তা অত্যন্ত সংক্রামক। দিল্লিতে বর্তমানে এই মিউট্যান্ট আক্রান্ত একজন কমপক্ষে ৯ জনকে সংক্রমিত করছে। তবে কোভিড বিধি না মানলে তার পরিমাণ কী হতে পারে এ বার কেন্দ্রের তরফে তা প্রকাশ্যে আনা হল। করোনাকে কাবু করতে শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহারেরই উপরে দেওয়া হয় জোর।
আরও পড়ুন: একদিনে রেকর্ড ৬৮ মৃত্যু, পজিটিভিটির হারে দিল্লির চেয়েও বিপজ্জনক অবস্থায় বাংলা
নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের কথায়, “যদি ৫০ শতাংশও দূরত্ববিধি পালন করা সম্ভব হয়, তবে একজন আক্রান্ত মাত্র ১৫ জনকে সংক্রামিত করতে পারবেন। অর্থাৎ একধাক্কায় সংক্রমণের হার কমবে ৭৫ শতাংশ। সকলের কাছে আমাদের আবেদন, বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝুন এবং সংক্রমণ যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই জন্য সকলে সহযোগিতা করুন।” তিনি এ দিন আরও জানিয়েছেন, “ঘরের মধ্যে থাকলেও এখন থেকে মাস্ক ব্যবহার করা শুরু করে দেওয়া উচিত। সর্বদা নাক এবং মুখ ঢেকে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই সময় কাউকে বাড়িতে আমন্ত্রণ না জানানোই মঙ্গল।”
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালকে আর টিকা দেবে না রাজ্য, নতুন নির্দেশিকা ধন্দ বাড়াচ্ছে প্রাপকদের