Supreme Court Justice: কলেজিয়ামের সুপ্রিম প্রস্তাবে মান্যতা, পাঁচ বিচারপতি নিয়োগে সায় কেন্দ্রের

Collegium’s recommendation: পাঁচ বিচারপতি নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। তবে এই সুপারিশে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছিল।

Supreme Court Justice: কলেজিয়ামের সুপ্রিম প্রস্তাবে মান্যতা, পাঁচ বিচারপতি নিয়োগে সায় কেন্দ্রের
দেশের শীর্ষ আদালত (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2023 | 7:16 PM

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টর বিচারপতি নিয়োগের জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়ামের সুপারিশে শিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পাঁচ বিচারপতি নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। তবে এই সুপারিশে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের একটি বেঞ্চ। অবশেষে পাঁচ বিচারপতি নিয়োগে মিলল কেন্দ্রের সবুজ সংকেত। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পাঁচ বিচারপতিকে দেশের শীর্ষ আদালতে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। সেই কলেজিয়ামের শীর্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এই নিয়োগ নিয়ে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্যের সাক্ষীও থেকেছে দেশ।

যে পাঁচ জন বিচারপতিকে সু্প্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল, তাঁরা হলেন- রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল, মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লা এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র। এই পাঁচ জনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করতেই সুপারিশ করেছিল কলেজিয়াম।

এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধান মন্ত্রীর দফতর ২ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচ বিচারপতি নিয়োগে সম্মতি দেয়। তাঁদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে নাম পাঠানো হয়। আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে ওই পাঁচ বিচারপতি শপথ নিতে পারেন বলে সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে।

justice

কলেজিয়ামের অনুমোদন অনুসারে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রের সঙ্গে। ১৩ ডিসেম্বর পাঠানো হলেও এত দিন ধরে তা আটকে ছিল। বিচারপতি এসকে কৌল এবং বিচারপতি এএস ওকার বেঞ্চ বিচারপতি নিয়োগে এই দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই বিষয়টিকে ‘সিরিয়াস ইস্যু’ বলবে চিহ্নিত করেন বিচারপতিরা। পাঁচ বিচারপতি নিয়োগ না হওয়া সত্ত্বেও অন্যরকম পদক্ষেপ করে দেশের শীর্ষ আদালত। আরও দুই বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও গুজরাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার। সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৌরভ কিরপালকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের জন্যও কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। কিন্তু কেন্দ্র এই সুপারিশের বিরোধিতা করে। সৌরভ কিরপানি স্বঘোষিত সমকামী। দেশে সমকামিতা বৈধ নয়, এই যুক্তি দিয়ে কিরপানির নিয়োগ করতে চায়নি কেন্দ্র। কিন্তু এই পাঁচ বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে কেন্দ্রকে কিছুটা পিছু হঠতে হল বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।