নয়া দিল্লি: করোনার দুটি ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিল দেশবাসী। কিন্তু নিজেদের ভুলেই ফের একবার বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাবিধি নিয়ে অসচেতনতা এবং বিভিন্ন অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের কারণেই দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতীয় পাওয়ার।
লোকসভায় গতকাল লিখিত জবাবে ভারতী পাওয়ার বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য় অনুযায়ী, ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস ভ্য়ারিয়েন্ট যে অতি সংক্রামক, তার বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিশেষ গবেষণা-আলোচনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে করোনা রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতি একই রাখা হয়েছে, কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।”
সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “প্য়ানডেমিকের রেশ থাকাকালীনই লকডাউন শিখিল করা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাবিধি নিয়ে অসচেতনতা এবং ভাইরাসের বিভিন্ন অতি সংক্রামক ভ্য়ারিয়েন্ট তৈরি ও তা ছড়িয়ে পাড়ার কারণেই ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে।”
তিনি জানান, ডেল্টা প্লাস, ল্যাম্বডার মতো করোনার নতুন স্ট্রেনগুলির দৌলতেই কেরল, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, ওড়িশা, ছত্তিসগঢ় ও মণিপুরের মতো একাধিক রাজ্যে ফের একবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংক্রমণ রোধে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করছে, এই প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটি মূলত রাজ্যের দায়িত্ব হলেও কেন্দ্রের তরফে যথাসাধ্য প্রযুক্তি, আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে।”
দেশে করোনা মোকাবিলায় যে ৩- টায়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে কোভিড কেয়ার সেন্টার, করোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও নির্দিষ্ট করোনা হাসপাতালও রয়েছে। এর মাধ্যমে বাকি রোগীদের মধ্যে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পরে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও ডিআরডিও-র অধীনে একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। অক্সিজেন ও আইসিইু বেডের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে ক্রমাগত। অক্সিজেন অপচয় রুখতে গত ২৫ সেপ্টেম্রই কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, যা গত ২৫ এপ্রিল ফের আপডেট করা হয়েছে, এমনটাই জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। আরও পড়ুন: CBSE 12th Result 2021: দ্বাদশে পাশের হার ৯৯ শতাংশ, ছেলে-মেয়েকে ছাপিয়ে রেকর্ড তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের