নয়া দিল্লি: অপেক্ষার আর একদিন। তারপরই শুরু হতে চলেছে করোনার গণটিকাকরণ প্রক্রিয়া (COVID-19 Vaccination Drive)। কারা নিতে পারবেন এই ভ্যাকসিন, তা নিয়ে ধন্দ কাটাতে একটি নির্দেশিকা (Guideline) প্রকাশ করল কেন্দ্র। কী কী করা যাবে আর কোনটা নয়, তার যাবতীয় তথ্য দেওয়া রয়েছে এই নির্দেশিকায়।
করোনা টিকাকরণ শুরুর আগেই রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশিকা ভাল করে অনুধাবন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “আপাতত ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদেরই টিকা দেওয়া যাবে। তবে যারা প্রসূতি বা গর্ভবতী কিংবা শিশুদের স্তন্যপান করান, তাঁরা নিতে পারবেন না এই টিকা।”
দুটি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ায় কে কোনটা পাবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট একটি ভ্যাকসিনের ডোজই নিতে পারবেন। অর্থাৎ প্রথম দফায় কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয় দফায় কোভিশিল্ড-এরকম করলে চলবে না। প্রথম ডোজটি যে সংস্থার হবে, দ্বিতীয় ডোজটিও একই সংস্থার হতে হবে।
আরও পড়ুন: নমোর হাতে উদ্বোধন, প্রথম দিনই টিকাকরণ হবে ৩ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে
টিকাকরণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই ডোজ সম্বলিত দুটি ভ্যাকসিনই ২৮ দিনের ব্যবধানে নিতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি অন্য কোনও রোগের টিকা নিয়ে থাকেন, তবে কমপক্ষে ১৪ দিনের ফারাকে করোনার টিকা নিতে পারবেন তিনি। এছাড়া যেসকল ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ও বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে সুস্থ হয়ে ওঠার চার থেকে আট সপ্তাহ পর তিনি করোনাটিকা নিতে পারবেন।
একই নিয়ম প্রযোজ্য প্লাজমা থেরাপি নেওয়া করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও। তাঁরাওসুস্থ হয়ে ওঠার চার থেকে আট সপ্তাহ বাদে করোনা টিকা নিতে পারবেন। যদি অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই সময়ের ব্যবধান মানা হবে।
টিকাকরণ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্যের খতিয়ানের জন্য ব্যবহার করতে হবে কো-উইন অ্যাপ। এই অ্যাপেই ভ্যাকসিনের স্টক, সংরক্ষণের তাপমাত্রা ও ভ্যাকসিনগ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হবে। এছাড়াও টিকাকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় সংশয় দূর করতে চালু করা হয়েছে একটি হটলাইন নম্বরও, এটি হল ১০৭৫। এই নম্বরে ফোন করলেই মিলবে টিকাকরণের বিস্তারিত তথ্য।
আরও পড়ুন: স্কুল খোলার প্রস্তুতি নিতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি সিআইএসই সচিবের