নয়া দিল্লি : কোনও সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কি না, সেটি নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মোট জনসংখ্যার উপর। তাই যে রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেই রাজ্যগুলিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ নম্বর ধারার মাধ্যমে তাঁদের সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ ও কাশ্মীরে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা চাওয়ার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টকে এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিএমএ পাই মামলা এবং অন্যান্য মামলার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্র আদালতকে জানিয়েছে, কোনও সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কি না, তা নির্ধারিত হয় রাজ্য সরকারের সমগ্র জনসংখ্যার উপর।
অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলার পাল্টা হলফনামায় বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিরও সংখ্যালঘু ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার “ইহুদিদের” সেই রাজ্যে সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলুগু, মালয়ালম, তামিল, মারাঠি, টুলু ইত্যাদিকে রাজ্যের ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, আবেদনকারীর যুক্তি যে ইহুদি, বাহাই এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, যারা লাদাখ, মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত সংখ্যালঘু, তারা ২৯ ও ৩০ ধারার অধীনে সংখ্যালঘুদের অধিকার পেতে পারেন না, তা সঠিক নয়।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক থেকে দায়ের করা ওই হলফনামায় বলা হয়েছে “যেহেতু রাজ্যগুলিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও চিহ্নিত করতে পারে, তাই আবেদনকারীর অভিযোগ ইহুদি, বাহাই এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, যারা লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব এবং মণিপুরে প্রকৃত সংখ্যালঘু, তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না, তা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্য স্তরে সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।”
আরও পড়ুন : Russian Minister to visit India: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ভারতে আসতে পারেন রুশ বিদেশমন্ত্রী