Amit Malvia: ‘রাজ্যের আয়ের থেকেও বেশি টাকা দেয় কেন্দ্র’, তথ্য দিয়ে অভিযোগ খন্ডন অমিত মালব্যের

Amit Malviya on funds disbursal: বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই অভিযোগ তথ্য দিয়ে খণ্ডন করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

Amit Malvia: 'রাজ্যের আয়ের থেকেও বেশি টাকা দেয় কেন্দ্র', তথ্য দিয়ে অভিযোগ খন্ডন অমিত মালব্যের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 7:49 PM

নয়া দিল্লি: বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই অভিযোগ নিয়ে ২৯-৩০ মার্চ দুদিন ধরে ধরনায় বসেছেন তিনি। এরই মধ্যে রীতিমতো তথ্য দিয়ে তাঁর অভিযোগ খণ্ডন করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক টুইটে তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে গত কয়েক বছরে কেন্দ্র যে পরিমাণ তহবিল দিয়েছে, তা রাজ্যের নিজস্ব সম্পদের থেকেও বেশি।

টুইটে অমিত মালব্য বলেছেন, রামনবমীর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছেন এবং বাংলার মানুষকে রাজ্যে কেন্দ্রের অবদান সম্পর্কে বিভ্রান্ত করছেন। সত্যিটা হল, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব সম্পদের তুলনায় কেন্দ্রীয় তহবিল সবসময়ই বেশি ছিল। ভারতের মোট কর সংগ্রহের ৪.৪ শতাংশ আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, আর কেন্দ্রের থেকে ফেরত পায় ৭.৫ শতাংশ।

অমিত মালব্য আরও জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ – পরপর তিন অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় তহবিল ছিল পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব সম্পদের থেকে ১২৫ শতাংশের বেশি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা আরও বেড়ে ১৪৫ শতাংশ হয়েছে। এই অর্থবর্ষে রাজ্যের রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ৭২,৭৭২ কোটি টাকা। পাশাপাশি কেন্দ্রের পাঠানো তহবিলের পরিমাণ ছিল ১,০৫,৩৮৭ কোটি টাকা। পরের অর্থবর্ষে কেন্দ্রের তহবিল আরও বেড়ে হয় ১,১৩,২৩০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩-এ বাংলার রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ৮১,৩৮২ কোটি টাকা। কাজেই শেষ অর্থবর্ষেও কেন্দ্রের পাঠানো তহবিল রাজ্যের নিজস্ব রাদস্ব সংগ্রহের তুলনায় ১৩৯ শতাংশ বেশি ছিল।

অমিত মালব্য আরও জানিয়েছেন, জিএসটি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের এসজিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলেছে। তবে ভারতের মোট এসজিএসটি-তে এই রাজ্যের অবদান তুলনামূলকভাবে কম। অমিত মালব্য বলেছেন, “ভারতের মোট এসজিএসটি সংগ্রহে পশ্চিমবঙ্গের অবদান মাত্র ৪.৪ শতংশ। অথচ, পনেরোতম অর্থ কমিশন বাংলার জন্য কেন্দ্রের মোট তহবিল বিতরণের ৭.৫২৩ শতাংশ বরাদ্দ করেছে।” কাজেই মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাটের মতো রাজ্য, যারা এসজিএসটি সংগ্রহে ৪০ শতাংশের মতো অবদান রাখে, তাদের তুলনায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনই দাবি বিজেপি নেতার।