‘…মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াব’, আড়াই বছরেই সংকটে বাঘেলের মুখ্যমন্ত্রিত্ব?
Bhupesh Baghel on CM post: মুখ্যমন্ত্রী রদবদলের প্রশ্ন করাতেই ভূপেশ বাঘেল বলেন, "আপনারা যতবারই প্রশ্ন করুন না কেন, আমার উত্তর একই থাকবে।"
রায়পুর: মাত্র আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী রূপে, এরই মধ্যে কি ভূপেশ বাঘেল(Bhupesh Baghel)-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেবে কংগ্রেস? বিগত কয়েকদিন ধরে এই জল্পনাকেই উসকে দিয়ে রবিবার দিল্লি যান ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী(Priyanka Gandhi) ও পিএল পুনিয়া(PL Punia)-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং (Virbhandra Singh)। গত ৯ জুলাই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই সিমলা যান ভূপেশ বাঘেল। এরপরই ফেরার পথে তিনি দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও দেখা করে যান। এই বৈঠক সম্পর্কে রবিবার তিনি বলেন, “বীরভদ্রজীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হিমাচল প্রদেশ গিয়েছিলাম। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এই প্রথম দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম আমি। দীর্ঘক্ষণ প্রিয়ঙ্কাজী ও পুনিয়াজীর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পুনিয়াজীর সঙ্গে গভীর আলোচনা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী রদবদলের প্রশ্ন করাতেই ভূপেশ বাঘেল বলেন, “আপনারা যতবারই প্রশ্ন করুন না কেন, আমার উত্তর একই থাকবে। দলের হাইকম্যান্ড আমায় দায়িত্ব দিয়েছে, তারা যদি মনে করেন আমার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত, তবে আমি তাই-ই করব।” আরও পড়ুুন: ২০ দিনেই ৪০টি এনকাউন্টার! পুলিশের ভুয়ো ‘এনকাউন্টাররাজে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনজীবীর
সূত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে কংগ্রেস ছত্তিসগঢ়ে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তিনটি নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসে। ভূপেশ বাঘেল, টিএস সিং দেও ও টি সাহু। মুখ্যমন্ত্রী হন বাঘেল, ক্যাবিনেটে জায়গা পান অপর দুই নেতা। কিন্তু ভূপেশ বাঘেল ও টিএস সিং দেওকে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী করার পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেসের, এই দাবি সামনে উঠে আসতেই শুরু হয় জল্পনা।