Chhattisgarh: জলের ট্যাঙ্ক খুলতেই পচা গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত, শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এবার ছত্তীসগঢ়ে
Chhattisgarh Man Chops Wife Into Pieces: ফের দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া। তবে এবার ঘটনাস্থল ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর জেলা।

রায়পুর: ফের দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া। তবে এবার ঘটনাস্থল ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর জেলা। জেলার সাক্রি থানা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, হত্যআর পর স্ত্রীর দেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে, বাড়ির একটি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল ওই ব্যক্তি, এমনই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে পচা দেহের দুর্গন্ধ সে চাপতে পারেনি। প্রতিবেশিরা সেই দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। এরপর সাক্রি পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং জলের ট্যাঙ্ক থেকে ওই মহিলার পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়।
সাক্রি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে উসলাপুরের এক বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে এক মহিলার বিকৃত ও পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মৃতদেহটি প্রায় ১ থেকে ২ মাস পুরোনো। অর্থাৎ, হত্যা হয়েছে ১-২ মাস আগেই। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত মহিলার নাম সতী সাহু। স্বামীর নাম পবন সিং ঠাকুর। তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে সন্দেহ করত সে। অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সতীর সম্পর্ক আছে সন্দেহে, মাঝে মাঝেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। সম্ভবত, সেই ঝগড়া থেকেই মুহূর্তের রাগে পবন সিং ঠাকুর তার সতীকে হত্যা করেছে। পরে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে তার দেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল।
সাক্রি থানার পুলিস আরও জানিয়েছে, মৃতদেহটি পাওয়ার পরই, পুলিশ এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ সংগ্রহ ও তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পবন সিং ঠাকুরকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ একটি হত্যার মামলা নথিভুক্ত করেছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।
এর আগে, গত বছরের শেষে দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলেছিল তার লিভ ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালা। তারপর দেহের টুকরোগুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিল। পরে বিভিন্ন সময়ে দেহাংশগুলি দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছিল। তদন্তের সময় পুলিশ সেই দেহাংশগুলি সংগ্রহ করে। আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্টও করা হয়। গত মাসেই এই মামলার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পর, আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে হত্যা করে দেহ টুকরো টুকরো করে লোপাট করার ঘটনা সামনে এসেছে। অসমের গুয়াহাটিতে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে হত্যা করে তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে।





