ইয়াঙ্গন: রক্তগঙ্গা বইছে মায়ানমারে। প্রাণ বাঁচাতে তাই ভারতীয় সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছে পালিয়ে আসা নাগরিকরা। সূত্র অনুযায়ী, বিগত এক মাসে কমপক্ষে এক হাজারেরও বেশি মায়ানমারের বাসিন্দা সীমান্ত টপকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে (Myanmar) আচমকাই সেনা অভ্যুত্থান হয়। আটক করা হয় জননেত্রী আন সান সু কি(Aung San Suu Kyi)-কে। এরপরই ইয়াঙ্গন, মান্দালা সহ একাধিক শহরে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে দেশের সাধারণ মানুষ। এ দিকে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই নির্মভাবে গুলি করে মারা হচ্ছে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজারো মায়ানমারের নাগরিক সেনা বাহিনীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে মণিপুরের ভারত-মায়ানমার সীমান্তে আস্তানা তৈরি করেছে। তাঁরা স্থানীয় প্রসাসনের কাছে ভারতে প্রবেশের অনুরোধও জানিয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই ১০০-রও বেশি মায়ানমারের বাসিন্দা মণিপুরের মোরেহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে জানায় পুলিশ। ৩০টিরও বেশি পরিবার সীমান্তেই বসবাসের আবেদন জানিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই নিরাপত্তাবাহিনী তাঁদের সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধা দিয়েছে।
মণিপুরের তেঙ্গনৌপাল জেলার পুলিশ সুপার বিক্রমজিৎ সিং জানান, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বহু মায়ানমারবাসী সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। অধিকাংশ সীমান্ত এলাকাই জঙ্গলের মধ্যে হওয়ায় অনেকে ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশ করেছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। সীমান্ত পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা কাঁটাতারের ওপারে থাকা মায়ানমারবাসীদের খাবার ও বস্ত্র দিয়ে সাহায্যও করছেন।
আরও পড়ুন: চলছে শাহি স্নান, সঙ্গে বাড়ছে করোনা, ২ দিনেই রাজ্যে আক্রান্ত হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী