চলছে শাহি স্নান, সঙ্গে বাড়ছে করোনা, ২ দিনেই রাজ্যে আক্রান্ত হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী
হরিদ্বারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এসকে ঝা জানান, সোমবার মেলা প্রাঙ্গনেই মোট ৬৬ হাজার ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে মেলা এলাকাতে ৯৬১ জনের রিপোর্ট পজি়টিভ এসেছে।
হরিদ্বার: শাহি স্নান করতে হরিদ্বারের বিভিন্ন ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। তাঁদের সঙ্গেই ঢুকে পড়ছে করোনাও। দেশে যেখানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা গিয়েছে, সেখানেই হরিদ্বারে চলছে কুম্ভ মেলা। লক্ষাধিক দর্শনার্থী পুণ্য অর্জনের আশায় গঙ্গাস্নান করতে ভিড় জমিয়েছেন। আর তাতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দুদিনেই সে রাজ্যে হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
১২ বছর বাদে হওয়া কুম্ভমেলা করোনা সংক্রমণের কারণে বাতিল না করা হলেও মেয়াদ কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানোর নিয়ম জারি হয়েছে। তবুও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কারণ পুণ্য স্নানে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা ভুলেছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় বা মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্য-নিয়মবিধি।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহি স্নানের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ সোমবার প্রায় ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গা স্নান করেছেন। বুধবার ফের রয়েছে শাহি স্নানের তিথি। এদিকে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যেই কেবল মেলা এলাকাতেই ১০৮৬ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
#KumbhMela: Devotees take a holy dip in river Ganga at Har Ki Pauri in Haridwar, Uttarakhand. pic.twitter.com/TUS2IMPcwb
— ANI (@ANI) April 13, 2021
হরিদ্বারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এসকে ঝা জানান, সোমবার মেলা প্রাঙ্গনেই মোট ৬৬ হাজার ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে মেলা এলাকাতে ৯৬১ জনের রিপোর্ট পজি়টিভ এসেছে। মঙ্গলবারই রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২৫ জন। সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
বিভিন্ন ঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপদেশ “দাওয়াই ভি, কাড়াই ভি” লেখা থাকলেও তা পুণ্যার্থীদের চোখে কতটা পড়ছে, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ প্রশাসনও। এর আগেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, ঘাটগুলিতে ভিড় এতটাই বেশি যে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ নৈশ কার্ফু, করোনা নিয়ন্ত্রণে যোগীরাজ্যকে লকডাউনের পরামর্শ এলাহাবাদ হাইকোর্টের