CJI DY Chandrachud Trolled: ঘৃণ্য, অশালীন ভাষায় আক্রমণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং থেকে রেহাই পেলেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচরপতিও!
Social Media Trolling: সাংসদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, "বিষয়টি বিচারাধীন হলেও, ট্রোল আর্মিরা হয়তো মহারাষ্ট্রের শাসক দলের প্রতি সহানুভূতিশীল, সেই কারণেই মাননীয় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের অবমাননাকর আক্রমণ করা হয়েছে।"
নয়া দিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যেমন ভাল অনেক দিক রয়েছে, তেমন খারাপ দিকও রয়েছে বেশ কিছু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং (Trolling) হল তার মধ্যে অন্যতম। অভিনেতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, প্রায় সকলেই কখনও না কখনও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এবার ট্রোলিংয়ের শিকার হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। সম্প্রতিই শিবসেনা বনাম শিবসেনা মামলার শুনানিতে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠন নিয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশীয়ারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেই একাধিক বিরোধী সাংসদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu-)কে চিঠি লিখলেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসের রাজ্য়সভার সাংসদ বিবেক তানখা অনলাইন ট্রোলিংকে বিচার ব্যবস্থায় নির্লজ্জভাবে হস্তক্ষেপ করা বলেই উল্লেখ করেন। ট্রোলিংয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়, সেই দাবিই জানান।
সাংসদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “বিষয়টি বিচারাধীন হলেও, ট্রোল আর্মিরা হয়তো মহারাষ্ট্রের শাসক দলের প্রতি সহানুভূতিশীল, সেই কারণেই মাননীয় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের অবমাননাকর আক্রমণ করা হয়েছে। ওনাকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং নিরাশাজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাদিক মানুষ সেই ট্রোলিংয়ের সাক্ষী।”
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে যে সমস্ত সাংসদরা চিঠি লিখেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য়সভার সাংসদ বিবেক তানখা, কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং, প্রমোদ তিওয়ারি, শক্তি সিং গোহিল, অখিলেশ প্রসাদ সিং, রঞ্জিৎ রঞ্জন, ইমরান প্রতাপগ্রাহী, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, আম আদমি পার্টির রাঘব চড্ডা, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব ও জয়া বচ্চন।
ইতিমধ্যেই ওই অভিযোগপত্রের একটি কপি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছেও এই অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।