ধানবাদ: কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইত না ছেলে, বলত সহপাঠীরা মারধর করে। জোর করে স্কুলে পাঠানোই কাল হল। বেলা গড়াতেই স্কুল থেকে ফোন এল, গিয়ে দেখলেন নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে ১৫ বছরের ছেলে। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর সহপাঠীরা। স্কুলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত ওই কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, সকালে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই স্কুলের প্রিন্সিপাল ফোন করেন। জানান যে, তাঁর ছেলে স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি স্কুলে গিয়ে দেখেন, ওই কিশোর অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শহিদ নির্মল মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত কিশোরের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েই তারা স্কুলে যান। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, সকাল ১০টা ২৩ মিনিট নাগাদ কয়েকজন পড়ুয়া মিলে ওই কিশোরকে মারধর করছে। যদিও স্কুলের প্রিন্সিপাল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্লাসের মাঝেই বসার জায়গা পরিবর্তন করতে গিয়ে ওই কিশোর হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং তাঁর গুরুতর আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই কিশোরের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের কথা জানাতেই মুখ খুলতে অস্বীকার করেন প্রিন্সিপাল।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে প্রায়দিনই ওই কিশোরকে মারধর করত সহপাঠীরা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত কিশোরের বাবাও জানিয়েছেন যে, প্রায়দিনই তাঁর ছেলেকে মারধর করত ক্লাসের বাকি পড়ুয়ারা। সেই কারণে ওই কিশোর স্কুলে যেতে চাইত না। তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Congress Meeting: বিক্ষুব্ধদের মান ভাঙাতে ফের বৈঠকের ডাক সনিয়ার, এবার কি খোল বদলাবে কংগ্রেস?