ভোটের প্রচারে অসমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের চারজন প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
টিভিগুলোকে টাকা দিয়ে খাওয়াচ্ছে। এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। কী বলছে? এইবার ৪০০ পার। আমি বলছি, প্রথমে তো ২০০ পেরোও। আগেরবার পিকে থেকে তিনশো হয়েছিল। এবার তো আরও হারবে। গো হারান হারবে বলে গেলাম। আগে দুশো পার করুন তারপর সাঁতার কাটবেন। আর সাঁতার কাটার কিছু না পেলে ডোবা দিয়ে দেব। নয়ত বাংলায় কোনও একটা পুকুর দেব। দিঘার সমুদ্র দিয়ে দেব। তবে মানুষকে মিথ্যা বলে চমকাবেন না।
আপনারা আমায় কথা বলার সুযোগ করে দিন। আপানারা কিছু না বলতেই সুস্মিতা দেবকে সাংসদ করিয়ে দিয়েছি। এবার দিয়ে দেখুন। আমি তো আসতে আসতে দেখলাম শিলচরে কিছুই হয়নি। কিছুই নেই। দু’একটা ছোট ছোট দোকান আর বিজেপির কারখানা ছাড়া কিছুই নেই। আমি যখন আসছিলাম তখনও আমায় দেখে পার্টির স্লোগান দিচ্ছিল। আমি বলব তোরা আমার ভূত দেখিস। দিয়ে যা, যার যা ইচ্ছা স্লোগান দিয়ে যা। আমার ফোস্কা পড়বে না। আমি মা-মাটি-মানুষকে বিশ্বাস করি। ঘা যেদিন মা-মাটি-মানুষ দেবে সেদিন বুঝবে কত ধানে কত চাল।
আমরা কখনও বাঙালি খেদাও আন্দোলন, কখনও অন্যভাষী খেদাও আন্দোলন করি না। আমাদের কাছে সবাই সমান। আমি শুধু এই টুকু বলব, এটা তো ট্রায়াল, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। অসমে আমি ট্রায়াল দিতে এসেছি। ফাইনাল খেলতে আসব আবার। দেখা হবে। লোকসভায় খেলা হবে?
আপনারা চান না নিজের পায়ে দাঁড়াতে? ভয় পান কাকে? আপনাদের ভাষা আন্দোলন করেছিলেন। আমি সম্মান করি। আমাদের শ্রীজাত নামের একজন সাহিত্যিক এখানে অনুষ্ঠান করতে এসেছিল। ওকে বিজেপির লোক ঘিরে ধরেছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে এখানে যাঁরা নাট্য চর্চা করে তাঁদের ফোন করি। তাঁরা গিয়ে শ্রীজাতকে উদ্ধার করে। আমরা তো কখনও করিনি।
তফসিলি বন্ধু স্কিম আমাদের আছে। তারা ভাতা পায়। আমার সময়ে শুধু আমি প্রায় ১ কোটি কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়েছি তফসিলিদের। আমার তফসিলি বন্ধু স্কিম আছে, আদিবাসীদের জন্য জয় জোহার স্কিম আছে, সংখ্যালঘুদের জন্য স্কিম আছে, মোয়াজ্জেম-ইমাম থেকে লোকপেশার শিল্পী, পুরোহিতদেরও স্কিম আছে। আর পড়ুয়ারা বিনা পয়সায় পড়াশোনা করে যাতে বাইরে যেতে পারে তার জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করা হয়েছে। সব ছাত্র ছাত্রীকে বিনা পয়সায় সাইকেল দিই।