Yogi Adityanath: গ্যাংস্টার আতিক খুনের পর যোগীর চরম হুঁশিয়ারি, বুঝিয়ে দিলেন উত্তর প্রদেশ এখন কেন শান্ত

উত্তরপ্রদেশে ২০১৭ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে একটিও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, কারফিউ জারি হয়নি। কারফিউ জারির পরিস্থিতিই হয়নি।

Yogi Adityanath: গ্যাংস্টার আতিক খুনের পর যোগীর চরম হুঁশিয়ারি, বুঝিয়ে দিলেন উত্তর প্রদেশ এখন কেন শান্ত
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2023 | 5:40 PM

লখনউ: কোনও মাফিয়া বা অপরাধী কখনও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কোথাও শিল্পপতিদের হুমকি দিতে পারবে না। গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed)  ও তাঁর ভাই আশরফ আহমেদের (Ashraf Ahmed) হত্যার দু-দিন পর, মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath)। দেশজুড়ে যখন আতিক ও তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেই সময়ে যোগী আদিত্যনাথের শিল্পপতিদের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

জানা গিয়েছে, এদিন লখনউ ও হারদোই জেলায় টেক্সটাইল পার্ক করার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষরিত করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (পিএম মিত্র) প্রকল্পের অধীনেই দুই জেলায় টেক্সটাইল পার্ক করার মউ স্বাক্ষরিত হয়। সেই অনুষ্ঠানেই বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মাফিয়াদের কার্যত হুঁশিয়ারি দেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “এখন কোনও পেশাদরী অপরাধী বা মাফিয়া ফোনেও শিল্পপতিদের হুমকি দিতে পারবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর শ্রোতাদের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে ওই অনুষ্ঠান।

এদিন কেবল মাফিয়াদের হুঁশিয়ারি দেওয়া নয়, বিরোধীদেরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন যোগী। বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিয়ে তিনি পাল্টা বলেন, “হিংসার জন্য ভয়ঙ্কর ছিল উত্তরপ্রদেশ। কেবল কয়েকটি জেলার নামেই লোকে ভয় পেত। এখন এখানে কোনও ভয়ের কারণ নেই।” একইসঙ্গে অখিলেশ যাদব সরকারের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৭০০-র বেশি হিংসার সাক্ষী হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। কিন্তু, ২০১৭ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে একটিও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, কারফিউ জারি হয়নি। কারফিউ জারির পরিস্থিতিই হয়নি। বরং এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ করা এবং শিল্প স্থাপনের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।” রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় কাউকে ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আতিক। সেই হুঁশিয়ারির দিন দুয়েকের মধ্যেই গত ১৫ এপ্রিল রাতে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ আহমেদের। মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই দুজন খুব কাছ থেকে তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ‘উত্তরপ্রদেশে অপরাধের ঘটনা চরমে উঠেছে এবং অপরাধীর সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেসও। যদিও ঘটনাপর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তারপরে অবশ্য আতিক হত্যার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে এবং এদিন মামলাটি গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত।