Coal Shortage: ‘অবস্থা সুবিধাজনক নয়, জানি না কতদিন টানা যাবে’, কয়লা সঙ্কটের কথা মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Coal Shortage in India: কয়লা সঙ্কটের জেরে পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে উঠেছে, সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীও।
নয়া দিল্লি: পুজোর মুখেই বড়সড় বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিল দেশজুড়ে। একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দেশে মাত্র ৪ দিনের কয়লা মজুত (Coal Shortage) রয়েছে। সেই কয়লা ফুরিয়ে গেলেই বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বর্ষার কারণে কয়লা উত্তোলন কমে গিয়েছে গোটা দেশে। বর্ষার কারণে কয়লা এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরবরাহ করতেও সমস্য়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী ক’দিন বিদ্যুৎ সরবরাহে বেশ ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন সম্ভাবনা তীব্র হয়েছে। কয়লা সঙ্কটের জেরে পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে উঠেছে, সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীও।
দেশে তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রের মোট সংখ্যা ১৩৫। অগস্টের গোড়ায় একবার কয়লা সঙ্কট চরমে ওঠে। সেই সময় দেশে ১৩ দিনের কয়লা মজুত ছিল বলে খবর। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি আরও গুরুতর। কারণ যে পরিমাণ কয়লা দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মজুত রয়েছে, তাতে কেবল ৪ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। অবিলম্বে যদি সরবরাহ সমস্যার সমাধান না করা যায়, তবে বিদ্যুৎ সঙ্কট অবশ্য়ম্ভাবী হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চিন-জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে। কয়লার অপ্রতুলতার কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ বার কি একই ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হবে ভারতও!
কিন্তু কী ভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হল? সূত্র জানাচ্ছে, অতি বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ কয়লা খনি থেকে উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। বহু খনিতে জল ভরে যাওয়ার কারণেও কয়লা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তাই উত্তোলনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।বিপদ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার বাড়তে থাকা দাম। ভারতের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি দেশের কয়লার উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই সময় দেশের বেশিরভাগ কয়লা খনি অঞ্চলে বৃষ্টিও বেড়েছে।
বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রেখেছেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং। এক সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এ বারের সঙ্কট অন্যান্য সময়ের মতো নয়। তাঁর কথায়, “আমি এটা বলতে পারব না যে আমরা পুরোপুরি নিরাপদ। আমাদের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রয়েছে। যা দিয়ে তিন দিনের কম সময় চালানো যাবে। সুতরাং আমরা নিরাপদ নই।”
আরও পড়ুন: Coal Scam: সশরীরে হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক-জায়া
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, “জানি না আগামী ৪-৫ অথবা ৫-৬ মাসেও পরিস্থিতি সুবিধাজনক হবে কি না। সাধারণত অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় ভাগ থেকেই চাহিদা কমতে শুরু করে (যখন শীতের শুরু হয়)। কিন্তু এ বার মারাত্মক টানাটানি রয়েছে।” যদিও আশ্বাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি সামাল দিতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কয়লা সঙ্কটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার অবস্থা তৈরি হয়নি। কোথাও যদি লোডশেডিং হয়েও থাকে, তবে সেটা অন্য কারণে।”
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: পুজো নিয়ে বিজেপি অন্দরে দোলাচল, অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ