
নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এবার সেই চাকরিহারাদের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পরই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার নয়াদিল্লিতে চাকরিহারা পাঁচ শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। ওই পাঁচ শিক্ষককে রাহুল গান্ধীর কাছে নিয়ে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, চাকরিহারাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন রাহুল। এতদিন কী কী হয়েছে, লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে জানান চাকরিহারারা। ধৈর্য ধরে সব কথা শোনেন রাহুল। যোগ্যরা যাতে চাকরি না হারান, সেই বিষয়ে শেষপর্যন্ত তাঁদের পাশে থেকে লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি।
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর চাকরিহারা এক শিক্ষক হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল বলেন, “রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মিনিট ১২ কথা হয়। আমাদের প্রতি যে যে অবিচার হয়েছে, তা বিস্তারিত জানাই তাঁকে। তিনি জানতে চান, কীভাবে সাহায্য করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি লেখার জন্য রাহুল গান্ধীর কাছে আমরা আবেদন জানাই।” রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য চিঠি লিখতে রাহুলকে আর্জি জানান চাকরিহারা শিক্ষকরা। রাহুল তাঁদের আশ্বাস দেন, তিনি চিঠি লিখবেন। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না, তা তাঁর হাতে নেই। তবে মানবাধিকার কমিশন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দরবার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল। চাকরিহারা শিক্ষকরা চান, দেশবাসী তাঁদের এই চাকরি হারানোর বিষয়টা জানুক। বিষয়টি দেশের সংবাদমাধ্য়মের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল।
আবার সোমবার (৭ এপ্রিল) ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁরা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে। মমতা বলেন, “আমি যদি সেখানে উপস্থিত থাকি, তাহলে তারা খুশি হবে। আমি ৭ এপ্রিল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাদের কাছে যাব। তাদের কথা শুনব। শুনতে তো কোনও দোষ নেই। তাদের বলব, ধৈর্য হারাবেন না। মানসিক চাপ নেবেন না।”