জয়পুর: বাবা বিধায়ক। রাজ্য তথা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই বিধায়করে ছেলের বিরুদ্ধেই উঠল অত্যন্ত গুরুতর অভিযোহ খোদ বিধায়কের ছেলে (MLA’s Son) যে এমন কাজ করতে পারেন, তা বিধায়কের সমর্থকরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। এবার ঘটনা প্রসঙ্গে আসা যাক। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ার জেলার রাজগঢ় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত শাসকদলের বিধায়ক জোহারি লাল মিনার ছেলে ও তাঁর ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে দৌসা জেলার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে বিধায়কের সমর্থকরাও অবাক হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধর্ষণের ঘটনায় বিধায়ক পুত্র দীপক মিনাই প্রধান অভিযুক্ত। বাকি ৪ জনের মধ্যে আরও একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর নাম বিবেক শর্মা।
বিবেকের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। দৌসা জেলার মান্ডাওয়ার থানার এসএইচও নাথু লাল জানিয়েছেন, বিবেক নির্যাতিতা কিশোরীকে গণধর্ষণের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে দেওয়া হুমকি দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নাথু লাল জানিয়েছেন, “রাজগঢ়ের বিধায়কের ছেলে দীপক মিনা সহ ৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভারতীয় দণ্ড বিধির অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।” ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তি শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। ওই এসএইচও জানিয়েছেন ফেব্রয়ারি মাসে মাহওয়া-মান্দাওয়ার রোডের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য একটি ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়। বাড়ি থেকে টাকা ও সোনার গয়না উধাও হওয়ার পর ওই কিশোরীর বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়ছিল। তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ তখন তদন্তে নেমে বিষয়টি জানতে পারে। প্রথমে বিবেককে গ্রেফতার করা হয়, তারপরই বাকিদের জড়িত থাকার ঘটনা জানা গিয়েছিল।