
নয়া দিল্লি: হাইড্রোজেন বোমা ফাটাবেন রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস সাংসদ দাবি করলেন যে কর্নাটকে ভোট চুরি করা হয়েছে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ‘ভোটচোর’দের রক্ষা করছেন বলেও দাবি করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
তাঁর দাবি, টার্গেট করে কংগ্রেস সমর্থক, গরিব ও দলিত ভোটারের নামই বেশি বাদ পড়ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন— একটি প্রবীণ গোদাবাইয়ের নাম ব্যবহার করে ১২ জন ভোটারের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে।
রাহুলের অভিযোগ, ভুয়ো আবেদনপত্র ও স্বয়ংক্রিয় ফিলিং-এর মাধ্যমে ভোট বাতিল করা হচ্ছে। OTP ট্রেইল, IP ঠিকানা ইত্যাদি প্রশ্নের বারবার জবাব চাওয়া হলেও, কমিশন তা দেয়নি। ২০২৩ সালে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময়, রাজ্যের বাইরে থেকে ভুয়ো লগ ইন ও ফোন নম্বর ব্যবহার করে ভোটারদের নাম ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
রাহুল আরও বলেন, “একের পর এক নির্বাচনে কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ লক্ষ লক্ষ ভোটারদের টার্গেট করছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়, বিশেষ করে যারা বিরোধীদের ভোট দেন। আমাদের কাছে ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে। আমি নিজের দেশকে ভালবাসি। আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভালবাসি এবং এই প্রক্রিয়াকে রক্ষা করছি। আমি এখানে এমন কিছু বলব না যে যার ১০০ শতাংশ প্রমাণ নেই। এবার আপনারা বিচার করুন।”
কর্নাটকের আলন্দে ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম ডিলিট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তা ধরা পড়ে যায় বলেই জানান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “একজন বুথ লেভেল অফিসার দেখেন যে তাঁর কাকার ভোট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানতে পারেন যে প্রতিবেশী ডিলিট করে দিয়েছেন। তিনি সেই প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসা করেন। ওই প্রতিবেশী জানান যে তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।”
কর্নাটকের সিইও ও সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রাহুলের।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী আগেই ‘হাইড্রোজেন বোমা’ আনার কথা বলেছেন—অর্থাৎ এমন প্রমাণ তিনি উন্মোচিত করবেন যা প্রকৃত ভোট চোরদের মুখোশ খুলে দেবে।
তিনি জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত প্রমাণসাপেক্ষ তথ্য সামনে আনার নির্দেশ দিয়েছেন; না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন বলেও জানান। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, তাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন জ্ঞানেশ কুমার, এমনটাও দাবি করেন রাহুল।