Rahul Gandhi: ‘অযোগ্যদের সারিতে রাখা অবিচার’, অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে যোগ্যদের জন্য রাষ্ট্রপতিকে কড়া চিঠি রাহুলের

Recruitment case: আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে রাহুল গান্ধী লেখেন, "শিক্ষক নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম পেয়ে পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায়কে বহাল রাখে। সেই রায়ের পর শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রতিকারের আর কোনও আশা প্রায় দেখছেন না।"

Rahul Gandhi: অযোগ্যদের সারিতে রাখা অবিচার, অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে যোগ্যদের জন্য রাষ্ট্রপতিকে কড়া চিঠি রাহুলের
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন রাহুল গান্ধীImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 08, 2025 | 4:30 PM

নয়াদিল্লি: যোগ্য চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। যোগ্যদের চাকরি হারানোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করলেন তিনি। এই নিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করতেও রাষ্ট্রপতিকে আবেদন করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতিতে যুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার কথাও বললেন রাহুল।

যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের পৃথক করা যায়নি। সেজন্য এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের সঙ্গে দিল্লি যান চাকরিহারা পাঁচ শিক্ষক। দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। লোকসভার বিরোধীর দলনেতার সঙ্গে মিনিট ১২ কথা হয়েছিল চাকরিহারাদের। তখনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখার জন্য রাহুলকে তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি যাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দেন, সেই আবেদন জানাতেও রাহুলকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। সেইসময় রাহুল জানিয়েছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখবেন। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা তাঁর একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত।

চাকরিহারাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাহুল। রাষ্ট্রপতিকে তিনি লেখেন, “নবম-দশম শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছিল। আপনাকে চিঠি লেখার জন্য তারা আমাকে অনুরোধ করে।”

আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে রাহুল লেখেন, “শিক্ষক নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম পেয়ে পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায়কে বহাল রাখে। সেই রায়ের পর শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রতিকারের আর কোনও আশা প্রায় দেখছেন না।”

যোগ্য ও অযোগ্যদের কথা উল্লেখ করে রাহুল লেখেন, “দুটি রায়েই বলা হয়েছে, যোগ্যতার ভিত্তিতে কিছু নিয়োগ হয়েছে। আবার অযোগ্যদেরও নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ ঘিরে যেকোনও রকম অপরাধ নিন্দনীয়। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতেই হবে। কিন্তু, যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, অযোগ্যদের সঙ্গে তাঁদের একইরকমভাবে বিবেচনা করা গুরুতর অবিচার।”