AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Congress G-23 Meeting: ‘সামনে এগোনোর একমাত্র পথ হল…’, দলের কাটাছেঁড়া হলেও গান্ধী-বিরোধী সুর উধাও জি-২৩-র বৈঠকে

Congress G-23 Meeting: এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কপিল সিবাল, মণীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, পৃথ্বীরাজ চাভন। এছাড়াও শশী থারুর, ভূপিন্দর সিং হুডা, রাজ বব্বর, শঙ্কর সিং ভাগেলা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের মতো নতুন মুখদের বিক্ষুব্ধদের বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায়।

Congress G-23 Meeting: 'সামনে এগোনোর একমাত্র পথ হল...', দলের কাটাছেঁড়া হলেও গান্ধী-বিরোধী সুর উধাও জি-২৩-র বৈঠকে
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন রাজ বব্বর, কপিল সিবল। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 6:58 AM
Share

নয়া দিল্লি: একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। এই পরিস্থিতিতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে (Assembly Election Results 2022) দলের দুর্দশা আরও স্পষ্ট হয়েছে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই  বিক্ষুব্ধ নেতারা সুর চড়াতে শুরু করলে, তড়িঘড়ি বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও সন্তুষ্ট হননি অনেক নেতাই। বুধবার বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারাই (G-23 Leaders) তাই দলের কাটাছেঁড়া করতে বৈঠকে বসলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধদের তালিকায় নতুন নাম লেখানো কিছু নেতাও। দুই পক্ষই একযোগে মিলিত হয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের আরও সক্রিয় ভূমিকার পক্ষেই মত প্রকাশ করেন। বিক্ষুব্ধরা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সুর না চড়ালেও, দলের বড় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যাতে সকল স্তরের কর্মীদের মতামত নেওয়া হয়, তার দাবি তোলা হয়।

বুধবারও বিকেলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতেই বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। এদের মধ্যে জি-২৩র ১৮ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন, নতুন কয়েকজন মুখকেও দেখা যায় বৈঠকে যোগ দিতে। বৈঠক শেষে বিবৃতিতে জানানো হয়, সকল নেতারাই আরও সক্রিয় ও মিলিত নেতৃত্বের সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, বিজেপিকে হারাতে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে এগোয় কংগ্রেস, সেই বার্তাও দেওয়া হয়।

এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কপিল সিবাল, মণীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, পৃথ্বীরাজ চাভন। এছাড়াও শশী থারুর, ভূপিন্দর সিং হুডা, রাজ বব্বর, শঙ্কর সিং ভাগেলা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের মতো নতুন মুখদের বিক্ষুব্ধদের বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায়। বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা বিশ্বাস করি, কংগ্রেসের এগিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মিলিত নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মতামত গ্রহণ। বিজেপির বিরোধিতা করতে কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। আমরা দাবি করছি কংগ্রেস যেন সম-মনস্ক রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এমন একটি মঞ্চ তৈরি করে, যা ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য় বিকল্প উঠে আসতে পারে।”

কংগ্রেসের অন্দরমহলের খবর, প্রথমে বিক্ষুব্ধদের এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কপিল সিবালের বাড়িতে। কিন্তু সম্প্রতিই তিনি গান্ধী পরিবার নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জেরে বেশ কিছু নেতা তাঁর বাড়িতে যেতে অস্বস্তিবোধ করেন। এরপরই গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে এই  বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগেও বিক্ষুব্ধ নেতারা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেও শীর্ষ নেতৃত্বর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অনেক নেতাই অভিযোগ করেছিলেন, তাদের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।