নয়া দিল্লি: আইনি রক্ষাকবচ খোয়ানোর একদিনের মধ্যেই ফের বিপাকে টুইটার (Twitter)। কংগ্রেসের টুলকিট নিয়ে জেরার মুখে পড়তে হল ভারতে টুইটারের অধিকর্তা মনীশ মাহেশ্বরী (Manish Maheshwari)-কে। সূত্র অনুযায়ী, গত ৩১ মে বেঙ্গালুরুতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের একটি টুইটে। গত ১৮ মে তিনি টুইটারের একটি টুইলকিটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের “ব্যর্থতা” নিয়ে কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করা হয়। এরপরই সম্বিত পাত্র বলেন, “কেন্দ্রকে ইচ্ছাকৃতভাবে বদনাম করার জন্যই টুলকিটটি প্রকাশ করা হয়েছিল।”
এরপরই দিল্লি পুলিশের টিম টুইটারের দিল্লি ও গুরগাঁওয়ের অফিসে হানা দেয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, টুইটারের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে যে জবাব চাওয়া হয়, তা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় পুলিশের তরফে ফের নোটিস পাঠানো হয়। এ দিকে, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় ওই টুলকিটটি ভুয়ো এবং বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়।
দিল্লি, গুরগাঁওয়ের অফিসে হানার এক সপ্তাহ পরেই মনীশ মহেশ্বরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।তবে কী কী বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
এ দিকে, কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানায় গতকালই টুইটারের কাছ থেকে আইনি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়। গাজিয়াবাদে এক মুসলিম বৃদ্ধের নিগ্রহের ঘটনায় একাধিক সাংবাদিক সহ টুইটারের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে, আগামিদিনে এই বিষয়ে টুইটারকে আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে।
আরও পড়ুন: CBSE Class 12: কবে ফলাফল? কী ভাবে মূল্যায়ন? সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল CBSE-র রিপোর্ট