কোচি : সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। কোনও ব্যক্তিগত পরিসরে বসে কারও কোনও সমস্যা না করে, কেউ মদ্যপান করতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, কারও মুখ থেকে মদের সামান্য গন্ধ পাওয়ার মানে এটা বোঝানো যায় না যে ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিংবা মদের ঘোরে ছিলেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। আবেদনকারী ৩৮ বছর বয়সি বি এস সেলিম কুমারকে সেই সময় ডেকে পাঠানো হয়েছিল বাদিয়াদকা থানায়। সেই সময় কোনও এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য থানায় ডাক পড়েছিল তাঁর। পুলিশের বক্তব্য সেই সময় মদ্যপ অবস্থা ছিলেন ওই ব্যক্তি। আর সেই কারণেই, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। পুলিশের সেই চার্জশিটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেলিম কুমার।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আবেদনকারী থানায় কোনওরকম অসম্মানজনক কাজ করেছেন বা কোনও হাঙ্গামা করেছেন বলে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর পুলিশের চার্জশিটে একমাত্র অভিযোগ রয়েছে, ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং নিজেকে সামলানোর মতো অবস্থায় ছিলেন না।
কেরল হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে সাজা দিতে হলে, দেখতে হবে তিনি কোনও প্রকাশ্য জায়গায় মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কিনা এবং কোনওরকম ঝঞ্ঝাট সৃষ্টি করছেন কিনা।
আদালত আরও জানিয়েছে, যদি এমনটা ধরেও নেওয়া হয় যে ওই ব্যক্তি সেই সময় মদ্য পান করেছিলেন, তাহলেও তিনি যে নিজেকে সামলানোর মতো অবস্থায় ছিলেন না, তেমন কোনও প্রমাণ নেই। কারণ, এ ক্ষেত্রে, পুলিশের তরফে ওই ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের ডাকেই তিনি থানায় এসেছিলেন। সুতরাং, তিনি যে নিজেকে সামলানোর অবস্থায় ছিলেন না, তা একেবারেই প্রমাণ হচ্ছে না।”