AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আম্বানীর বাড়ির সামনে বোমাতঙ্ক, অভিযুক্ত সচিন ভাজ়েকে বরখাস্ত করল মুম্বই পুলিশ

সন্দেহজনক সেই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় দিন কয়েকের মধ্যেই। আর তাঁকে হত্যার পিছনে উঠে আসে এই পুলিশ অফিসারের নাম।

আম্বানীর বাড়ির সামনে বোমাতঙ্ক, অভিযুক্ত সচিন ভাজ়েকে বরখাস্ত করল মুম্বই পুলিশ
সচিন ভাজ়ে। (ফাইল ছবি: PTI)
| Updated on: May 11, 2021 | 7:58 PM
Share

মুম্বই: রিলায়ে্স কর্তা মুকেশ আম্বানীর বাড়ির সামনে একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বোমা। মাস কয়েক আগে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। তদন্তে নেমে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয় মুম্বই পুলিশের অফিসার সচিন ভাজ়েকে। এবার তাঁকে বরখাস্ত করা হল চাকরি থেকে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

গত মার্চ মাসে ওই হাইপ্রোফাইল ওই মামলার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। মার্চেই সচিন ভাজ়েকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করার খবর জানিয়েছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইতে মুকেশ আম্বানীর বিলাসবহু বাড়ি ‘আন্তিলা’র সামনে একটি এসইউভি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আর সেই গাড়ি বোঝাই ছিল বিস্ফোরকে। জিলেটিন স্টিক উদআর হয় সেই গাড়ি থেকে। আপাতত দৃষ্টিতে কোনও বড় ঘটনা না ঘটলেও তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই এসইউভি ছিল পুনের এক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরণের। আর ঘটনার কয়েকদিন পর সেই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তদন্ত অন্য মোড় নেয়। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে তাঁর রহস্যমৃত্যুর পিছনে পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ের ভূমিকা রয়েছে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই অফিসারকে।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসতে পারে একুশের প্রথম সাইক্লোন, পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন

এই ঘটনার সূত্র ধরেই মহরাষ্ট্রের তৎকালীন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিং-কে সরিয়ে দেওয়া হয়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সামনে আসে। শহরের হোটেল ও পাব থেকে সচিন ভাজ়ে-কে ১০০ কোটি টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে। অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিলেন পরম বীর সিং, চিঠি দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকেও। সুপ্রিম কোর্ট ও পরে বম্বে হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালতের তরফে সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই পদত্যাগ করেন অনিল দেশমুখ।