নয়া দিল্লি: ফের নয়া রেকর্ড করোনা সংক্রমণ(COVID-19) ও মৃত্যুহারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৭১৪ জন। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩১২জনের। চলতি বছরে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করে। রাজ্যগুলিকে পাঁচ পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণে রাশ টানতে জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। মাস্ক না পরার সাজা হিসাবে জেলে পোরার ভয়ও দেখিয়েছে তেলঙ্গানা সরকার। করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখে নিন এক নজরে-
ফের একবার লকডাউন জারির কথা বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ব্যপকহারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে লকডাউনের হুঁশিয়ারি দিলেন। রবিবার তিনি বলেন, “রাজ্যে কোভিডবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। লকডাউনের জন্য প্রস্তুত হন।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকুন’, হুঁশিয়ারি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর
আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের ২৫ পড়ুয়া সহ মোট ৪০ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। তবে এখনই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফের একবার কড়া হল তেলঙ্গানা সরকার। রাজ্যের সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নানা ধরনের প্রচারের পাশাপাশি গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হল। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মাস্ক না পরলেই জরিমানা সহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি মহামারি মোকাবিলা আইনের অধীনে জেলেও পাঠানো হতে পারে অভিযুক্তদের।
সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই ফের একবার করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১লাখ ৮১ হাজার ২৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়ে দেশে এখনও অবধি মোট ২৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
লকডাউন, নৈশ কার্ফু জারি করেও মিলছে না লাভ। মহারাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭২৬ জন। একদিনেই সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের, যা গত বছরের অক্টোবর মাসের পর সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে জারি হচ্ছে নৈশ কার্ফু।