Suicide Case: স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’, দেখতে বাধ্য করা হয়েছিল স্বামীকে! লাঞ্ছনায় একসঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা দম্পতির
Uttar Pradesh: দম্পতির সন্তানরা জানান, শুক্রবার সকালে তাঁরা স্কুলে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন মা-বাবাকে শুয়ে থাকতে দেখে। জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলেন যে বিষ পান করেছেন দুইজনই। শীঘ্রই তাঁরা মারা যাবেন। এরপরই আট বছরের কিশোর ছুটে গিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন।
লখনউ: বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ স্ত্রীকে, নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল স্বামীকে। এই লাঞ্ছনা সহ্য করতে পারেননি দুইজনই। সিদ্ধান্ত নেন, একইসঙ্গে বিষ খাবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। একসঙ্গে বিষ খেলেন স্বামী-স্ত্রী। পরপর মৃত্যু হল তাঁদের। তবে তার আগে মোবাইলে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন দম্পতি। সেই ভিডিয়োয় গণধর্ষণে অভিযুক্তদের নাম ও মহিলার উপরে হওয়া অকথ্য অত্যাচারের বিবরণ দেন তাঁরা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বসতি জেলায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ভিডিয়োর সূত্র ধরে ইতিমধ্য়েই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে বসতি জেলার রুধৌলি পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত এলাকায় থাকতেন ওই দম্পতি। তাদের তিন সন্তানও ছিল। গত ২০ সেপ্টেম্বরের রাতে হঠাৎই বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামের কয়েকজন যুবক। তাঁরা জোর করে ধর্ষণ করেন ওই মহিলাকে। স্ত্রীর উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচার দেখতে বাধ্য করা হয় স্বামীকে। ঘটনায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েন ওই দম্পতি। সিদ্ধান্ত নেন, একসঙ্গে আত্মহত্যা করবেন। এরপরই বৃহস্পতিবার ভোরে দুইজনে বিষ খান।
ওই দম্পতির সন্তানরা জানান, শুক্রবার সকালে তাঁরা স্কুলে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন মা-বাবাকে শুয়ে থাকতে দেখে। জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলেন যে বিষ পান করেছেন দুইজনই। শীঘ্রই তাঁরা মারা যাবেন। এরপরই আট বছরের কিশোর ছুটে গিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, ওইদিনই মৃত্যু হয় ব্যক্তির। তার পরেরদিন মৃত্যু হয় স্ত্রীর।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যার আগে ওই দম্পতি একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন, যেখানে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তাঁদের ওই বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে শুক্রবার। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (গণধর্ষণ) ও ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।