AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balasore Train Accident: হাসপাতালের বেডে শুয়ে নেপালের কিশোর, টিভি দেখেই চিৎকার, ‘এই তো মা-বাবা’

Coromandel Express Derailed: বিভিন্ন হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান নিখোঁজ ছেলের খোঁজে। ভুবনেশ্বর এইমসে যখন ছেলের খোঁজ করছিলেন, সেই সময় একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মের সাংবাদিক তাঁদের  মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।

Balasore Train Accident: হাসপাতালের বেডে শুয়ে নেপালের কিশোর, টিভি দেখেই চিৎকার, 'এই তো মা-বাবা'
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরের অবস্থা।
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2023 | 5:14 PM
Share

কটক: গণমাধ্যমের প্রভাব কতটা, তা প্রমাণ হল আরও একবার। টিভিতে কয়েক মিনিটের সাক্ষাৎকারই খুঁজে দিল বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরকে। শুক্রবার রাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ২৮৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আহত কমপক্ষে ৭০০। দুর্ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দূর-দূরান্ত থেকে প্রিয়জনদের খোঁজে ছুটে আসেন বহু মানুষ। এমনভাবেই নিজেদের নাবালক ছেলেকে খুঁজতে নেপাল থেকে এসেছিলেন এক দম্পতি। সংবাদমাধ্যমের কাছে যখন নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করছিলেন, সেই সময়ই হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে শুয়ে টিভিতে মা-বাবাকে দেখতে পেল ওই কিশোর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতেই তাঁরাই ওই কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিল তাঁর মা-বাবার।

গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনেই তিনজন আত্মীয়ের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন রামানন্দ পাসওয়ান নামক ১৫ বছরের এক কিশোর। দুর্ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছে ওই যুবক।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেতেই নেপাল থেকে ওড়িশায় ছুটে আসেন কিশোরের মা-বাবা। বিভিন্ন হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ান নিখোঁজ ছেলের খোঁজে। ভুবনেশ্বর এইমসে যখন ছেলের খোঁজ করছিলেন, সেই সময় একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মের সাংবাদিক তাঁদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ওই দম্পতি কাতর আর্জি জানান ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। এসসিবি মেডিক্যাল কলেজের বিছানায় শুয়ে মা-বাবার ছবি দেখতে পান ওই কিশোর, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।

হাসপাতালের তরফেও যোগাযোগ করা হয় ওই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। ওই দম্পতির সাক্ষাৎকারের ফুটেজ সংগ্রহ করে আহত কিশোরকে দেখানো হয় শনাক্ত করার জন্য। কিশোর হ্যাঁ বলতেই যোগাযোগ করা হয় ওই দম্পতির সঙ্গে। তাঁরা এসসিবি হাসপাতালে এসে খুঁজে পান ছেলেকে।

ওই কিশোরের বাবা হরি পাসওয়ান বলেন, “ছেলেকে খুঁজে পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের তিন আত্মীয়ের সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাচ্ছিল ও। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ওদের সকলেরই মৃত্যু হয়, শুধু ভাগ্যের জোরে আমাদের ছেলে বেঁচে যায়।”

এসসিবি মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি অফিসার ডঃ বিএন মহারাণা বলেন, “ওই কিশোরের কথা শুনেই হাসপাতালের তরফে প্রথমে টিভি চ্যানেলের অফিসে যোগাযোগ করা হয়। ওই দম্পতিই তাঁর মা-বাবা কিনা, তা দ্বিতীয়বার যাচাই করার পরই যোগাযোগ করা হয়।”