নয়া দিল্লি: বছরের শুরুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী হলেও, দ্রুত পারও হয়ে গিয়েছিল সেই করোনার ঢেউ (COVID-19 Wave) । কিন্তু কয়েক মাস পার হতেই ফের একবার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত কয়েক দিন ধরেই দিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের একবার বিধিনিষেধের পথেই হাঁটতে চলেছে দিল্লি সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, ফের একবার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে মাস্ক (Mask) পরার নিয়ম। একইসঙ্গে জরিমানাও ফের চালু করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ রুখতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে করোনাবিধি অনুসরণ করেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ রুখতে ফের এবার জনসমক্ষে মাস্ক পরার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। একইসঙ্গে সকলে যাতে নিয়মবিধি অনুসরণ করেন, তার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানাও ফের একবার চালু করা হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, প্রশাসনের তরফে মাস্ক না পরার জন্য যে জরিমানা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছিল। নিজেদের ও আশেপাশের মানুষের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরা উচিত। বিগত দুই বছরের তুলনায় বর্তমানের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভাল কারণ আমাদের কাছে করোনা টিকার সুরক্ষা রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মাস্ক পরার নিয়ম আরও কঠোর করা হবে। বিশেষ করে ভিড় জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতেই হবে। যারা মাস্ক পরবেন না, তাদের উপর কড়া জরিমানা বসানোর চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। তবে জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ৫০০ টাকা করা নিয়ে আলোচনা চলছে। সংক্রমণের নিরিখে বর্তমানে কমলা জ়োনে রয়েছে দিল্লি। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে আগামী ২০ এপ্রিল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বাকি সমস্ত করোনাবিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপরই ১ এপ্রিল দিল্লিতে মাস্ক পরার বাধ্যতামূলক নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৬ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হার এখনও কম রয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার এখনও বৃদ্ধি পায়নি। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে মাস্ক পরলেই সংক্রমণ অনেকটা রোখা সম্ভব। আগামী ২০ এপ্রিল ডিডিএমএ রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও তা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।”