COVID-19: জলের মতো পায়খানা হচ্ছে ২ দিন ধরে? সাবধান, এটাই করোনার নতুন উপসর্গ
COVID-19 Symptoms: করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ-তে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে ওপিডি বা আউটডোরেও ভিড় বাড়ছে। বিগত ১০ দিনেই বড় বড় হাসপাতালগুলির ওপিডিতে রোগীর সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে।

নয়া দিল্লি: ফের একবার ভয় ধরাচ্ছে করোনা। বাড়ছে সংক্রমণ। এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি না হলেও, নতুন এই করোনা সংক্রমণকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে বেশ কিছু উপসর্গেও বদল এসেছে। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়াও এমন কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যা আগের সংক্রমণে দেখা যায়নি। তাই চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন যে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই, দ্রুত করোনা পরীক্ষা করুন। কী সেই উপসর্গ?
প্রথম, দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ে জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি অন্যতম উপসর্গ ছিল নাকে গন্ধ না পাওয়া, মুখে স্বাদ না থাকা। এবারের সংক্রমণে সেই উপসর্গের দেখা নেই। বরং এবারে করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীরই গলা ব্যথা, গলা বসে যাচ্ছে। রীতিমতো কণ্ঠস্বর বদলে যাচ্ছে। এছাড়া পেট ব্যথা, জ্বর তো আছেই। আরেকটি উপসর্গ হল ডায়েরিয়া। দেশজুড়ে হাসপাতালগুলিতে যে করোনা আক্রান্ত রোগীরা আসছেন, তাদের অধিকাংশেরই ডায়ারিয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ফের একবার ভিড় বাড়ছে। করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ-তে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে ওপিডি বা আউটডোরেও ভিড় বাড়ছে। বিগত ১০ দিনেই বড় বড় হাসপাতালগুলির ওপিডিতে রোগীর সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে। অধিকাংশ করোনা রোগীরই সংক্রমণ সামান্য বা মাঝারি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনার জেএন.১, এনবি ১.৮.১ ও এলএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এগুলি সবকটিই ওমিক্রনের সাব-লিনিয়েজ। সংক্রমণে সাধারণত খুব বাড়াবাড়ি না হলেও, যাদের ডায়াবেটিস, ক্রনিক রেসপিরেটরি সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আগের মতো এবারেও শিশু, বয়স্ক ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কী কী উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খুব সামান্য সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীদের কয়েকদিন টানা জ্বর থাকছে, শুকনো কাশি হচ্ছে। কফ, গলা বসে যাওয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সর্দি হওয়ার মতো উপসর্গ থাকছে। এছাড়া ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গও থাকছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, যদি জলের মতো মল হয়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হন। দুইদিন বা তার বেশি যদি এই উপসর্গ থাকে এবং শরীরে প্রচুর ক্লান্তি দেখা দেয়, তবে যেন অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা করা হয়।
তবে এই সংক্রমণ নিয়ে ওত উদ্বেগের কারণ নেই। করোনা আক্রান্ত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পেলে তৃতীয় বা চতুর্থ দিন থেকেই সুস্থবোধ করছেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তবে করোনার আগের ঢেউগুলির মতো এই সংক্রমণে কোনও জটিলতা দেখা যায়নি।

