COVID 19 Upsurge: লকডাউনের স্মৃতি ফিরিয়ে হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ, সাবধান করল কেন্দ্র
COVID 19 Safety Protocol: দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ সামান্য বেড়ে গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলেনি। তবে রাজ্যগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: কোভিড নিয়ে ফের সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাল দিল্লি। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশু পন্থ চিঠি পাঠিয়েছেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বর্তমানে যে সংশোধিত গাইডলাইন রয়েছে কোভিড নিয়ে, তা মেনে চলার উপর প্রতিটি রাজ্যকে জোর দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সব রাজ্যের জন্য কোভিডের উপর নজরদারি রাখতে, আট দফা নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
দেশে কোভিড পরিস্থিতি যখন চরমে উঠেছিল, তখন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল দেশবাসীকে। একের পর কোভিডের ঢেউ। লকডাউন, অক্সিজেনের হাহাকার, স্বজন হারানোর কান্না। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছিল ভারত। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির সমবেত চেষ্টা সেই ধাক্কা সামলে উঠে ফের ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। কিন্তু এসবের মধ্য়েই কি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা? দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ সামান্য বেড়ে গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলেনি। তবে রাজ্যগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কী কী পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার?
সামনেই আরও একটি উৎসবের মরশুম। বড়দিন। সেক্ষেত্রে রোগের সংক্রমণ রুখতে জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির উপর নজরদারির যে গাইডলাইন রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও অসুস্থতা বা শ্বাসজনিত কোনও অসুস্থতার উপর জেলাস্তরে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য নিয়মিতভাবে ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফরমেশন পোর্টালে তোলার জন্য বলা হয়েছে।
জোর দিতে বলা কোভিড পরীক্ষার গাইডলাইনের উপরেও। জেলাস্তরে যাতে নির্দিষ্ট অনুমাতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষার উপর। কোনও নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য বলা হয়েছে। যাতে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে কি না, তা আগে ভাগে শনাক্ত করা যায়।
প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তাও দেখে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।