ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল, পুরসভা অফিসের সামনেই ধর্ণায় করোনা রোগী, রাতেই মৃত্যু
করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হওয়ার পরও কোনও হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। এরপরই তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পুরসভা অফিসের সামনে ধর্ণা(Sit in Protest)-এ বসেন। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মুম্বই: একের পর এক হাসপাতালে ঘুরলেও কোথাও মেলেনি ঠাই। তাই বাধ্য হয়েই পুরসভা অফিসের বাইরে ধর্ণায় বসেছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এক করোনা রোগী (COVID Patient)। মুখে অক্সিজেন মাস্ক(Oxygen Mask), পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার (Oxygen Cylinder) নিয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রশাসনের নজর কাড়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।
মহারাষ্ট্রে রোজই রেকর্ড ভাঙছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)-ও লকডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দু-তিনদিন আগেই তাঁকে বাইটকো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে একদিনের মধ্যে তাঁকে সরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয় যে কোনও বেড ফাঁকা নেই। নাসিকে একের পর এক হাসপাতালে ঘুরলেও কোথাও ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। সিভিল হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে সেখানে কেবল অক্সিজেন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুণেতে জারি হল কার্ফু, পুরোপুরি বন্ধ থাকবে শপিংমল, বার-রেস্তরাঁ
একাধিকবার হাসপাতাল থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরই তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েই নাসিক পুরসভা অফিসের সামনে ধর্ণায় বসেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় বসে থাকার পর পুরসভার তরফ থেকেই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে স্থানীয় একটি পুরসভা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৪০ শতাংশে পৌছয়, যা স্বাভাবিকভাবে ৯০ শতাংশ থাকে। রাত একটা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর।
গোটা ঘটনায় পুলিশ ও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে যে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পরও কেন ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত