নয়া দিল্লি: ভারতে এখন অনুমোদনপ্রাপ্ত করোনা (COVID) টিকার সংখ্যা ২। শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পৌঁছতে শুরু করেছে সেরামের টিকা। পশ্চিমবঙ্গেও এসে পৌঁছেছে সেরামের তৈরি কেভিশিল্ড। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু হলেও সংক্রমণের গতি কমেনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসেছে গোটা ইউরোপ।
তবে অন্যান্য দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দেশে অবশ্য নিম্নমুখী করোনা রেখাচিত্র। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৮৪ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৬৭ জন। কিন্তু কয়েক মাস আগেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছিল।
দেশে অভাবনীয় হারে কমেছে সক্রিয় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৫৮। আমেরিকায় এই সংখ্যাটা ৯০ লক্ষেরও বেশি, ব্রাজিলেও ৭ লক্ষের বেশি, রাশিয়ায়ও প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তর সংখ্যার নিরিখে ভারতের স্থান দ্বিতীয় কিন্তু সক্রিয় করোনা আক্রান্তর তালিকায় প্রথম পাঁচে নেই ভারত। যেখান থেকে হলফ করে বলা যায়, ভারতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ক্রমাগত নামতে শুরু করেছে দৈনিক আক্রান্তের রেখাচিত্রও।
আরও পড়ুন: লোকসভার থেকেও বেশি বাহিনী বিধানসভা ভোটে, স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের
তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ‘স্ট্রেন।’ ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে এই ‘সুপার স্প্রেডার।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটেনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পিছনে দায়ী এই করোনার নতুন রূপ। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নয়া ‘স্ট্রেনে’ আক্রান্তর সংখ্যা। তবে প্রতিষেধক নির্মাতাদের দাবি, নতুন ‘স্ট্রেনের’ বিরুদ্ধেও কার্যকরী হবে প্রতিষেধক। এখন দেশে টিকাকরণ শুরু হলে নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে কিনা সেটাই দেখার।