লোকসভার থেকেও বেশি বাহিনী বিধানসভা ভোটে, স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের
যেহেতু রাজ্যের ভৌগলিক বিস্তৃতি ও রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস সর্বজনবিদিত, তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে লোকসভা ভোটের থেকেও বেশি সংখ্যক আধাসেনা রাজ্যে আনা হবে।
কলকাতা: চলতি বছরেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও পাঁচটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) চিন্তার মূল কারণ হয়ে থাকছে বাংলার ভোট। তাই ভোটমুখী রাজ্যগুলির নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুতির হিসেব-নিকেশ আগেভাগে বুঝে নিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র (Home Secretary) সচিব অজয় ভল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কলকাতায় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন পা রাখার কয়েক ঘণ্টা আগের কমিশন এই বৈঠক করে স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে।
বৈঠকে তাঁরা জানতে চান, এই পাঁচটি রাজ্যের ভোটে স্বরাষ্ট্র দফতর কী পরিমাণ আধাসেনা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। যে পাঁচটি রাজ্যে আগামী সময়ে ভোট হতে চলেছে, বিধানসভা আসনের নিরিখে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাংলা। রাজনৈতিক অশান্তির বিচারেও এ রাজ্যের জুড়ি মেলা ভার। তাই এদিনের বৈঠকে এ রাজ্যের ভোট বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কমিশনের কর্তাদের আলোচনায়।
সূত্রের খবর, বাংলা ভোটের জন্য কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি আধাসেনা চাইতে পারে কমিশন। গত লোকসভা ভোটে এই সংখ্যাটা ছিল ৭৪৯। যেহেতু রাজ্যের ভৌগলিক বিস্তৃতি ও রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস সর্বজনবিদিত, তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে লোকসভা ভোটের থেকেও বেশি সংখ্যক আধাসেনা রাজ্যে আনা হবে। বিশেষ করে বিজেপি যেভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তাতে বিরোধীদের অভিযোগের কোনও সুযোগ কমিশন দিতে চাইছে না।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি ‘অনুপ্রবেশ’! শীর্ষ আদালতে দাবি কেন্দ্রের
উল্লেখ্য, একমাসের ব্যবধানে মঙ্গলবার সন্ধেয় শহরে ফের পা রাখছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আগামিকাল সকালে তিনি কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে সমস্ত জেলার পুলিস সুপার, জেলাশাসক, কমিশনার ও রাজ্য কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিই এই বৈঠকের মূল আলোচনা বিষয় হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় শিক্ষানীতি স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনে তৈরি: নরেন্দ্র মোদী