কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি ‘অনুপ্রবেশ’! শীর্ষ আদালতে দাবি কেন্দ্রের
অভিযোগ শুনে আদালত কেন্দ্রকে পৃথক হলফনামা দায়ের করতে বলে। আগামিকাল গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রের শীর্ষ আইনজীবী সেই হলফনামা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: বির্তকের কেন্দ্রে থাকা তিনটি কৃষি আইন (Farm Law) প্রয়োগের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশে জোর ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র (Supreme Court)। এদিন শুনানির সময় পাল্টা যুক্তি খাড়া করে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, খালিস্তানিদের (Khalistani) ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে চাষিদের এই আন্দোলনে (Farmer Protest)। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল। অভিযোগ শুনে আদালত কেন্দ্রকে পৃথক হলফনামা দায়ের করতে বলে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রের শীর্ষ আইনজীবী আগামিকাল সেই হলফনামা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সমর্থনকারী এক কৃষক সংগঠন সর্বপ্রথম এই আন্দোলনে খালিস্তানিদের প্রবেশ হয়েছে বলে দাবি করেছিল। সেই থেকেই এই অভিযোগের সূত্রপাত। কৃষি আইনের সমর্থনে করা মামলাকারীর প্রতিনিধিত্ব করে আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “যারা খালিস্তানি সভার আয়োজন করে তাঁদের কৃষক বিক্ষোভস্থলে পতাকা টাঙাতে দেখা গিয়েছে।” এই অভিযোগের সমর্থনে সালভের সুরে সুর মেলান ভেনুগোপালও।
দুই তরফের আইনজীবীর দাবি শুনে প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে বলেন, “কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের অনুপ্রবেশ যদি হয়ে থাকে, এবং কেউ যদি এই অভিযোগ আদালতে তোলেন, তবে সেই অভিযোগকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি (কেকে ভেনুগোপাল) কালই একটি হলফনামা দায়ের করুন।” আদালতে ডাকে সাড়া দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “হ্যাঁ, গোয়েন্দা দফতরের রেকর্ড দিয়েই আমি হলফনামা দায়ের করব।”
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের বৃহত্তম শত্রু ‘পরিবারতন্ত্র’ উপড়ে ফেলুন, যুবাদের আহ্বান নমোর
১৯৮৪ সালে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। শিখদের জন্য পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি করা এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই পরবর্তীকালে খালিস্তানি হিসেবে পরিচিত হয়। তার কয়েকমাসের মধ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করে তাঁরই দেহরক্ষী। যিনি ছিলেন শিখ ধর্মাবলম্বি। ঘটনার পর গোটা পশ্চিম ভারত ও বিশেষ করে পঞ্জাব অশান্ত হয়ে ওঠে। বাড়তে থাকে খালিস্তানি আন্দোলনও। সেই সময় পুলিস খালিস্তানিদের একটা বড় অংশকে দমন করতে সক্ষম হলেও এখন পঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে তাঁদের অস্তিত্ব ও কার্যকলাপ রয়ে গিয়েছে বলেই দাবি করে থাকে বিজেপি।
আরও পড়ুন: কেন কমিটি? ‘নিমরাজি’ কৃষকদের গুরুত্ব বোঝাল সুপ্রিম কোর্ট