পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকায় কেনা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী-প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য ভ্যাকসিন, দাবি সূত্রের

এর আগে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ রুখতে ভেন্টিলেটরের মতো নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এই তহবিল থেকেই অর্থ খরচ করা হচ্ছে।

পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকায় কেনা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী-প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য ভ্যাকসিন, দাবি সূত্রের
ভ্যাকসিন কেনার টাকা আসছে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে, এমনটাই দাবি সূত্রের।
Follow Us:
| Updated on: Jan 12, 2021 | 6:45 PM

নয়া দিল্লি: আগামী শনিবার থেকেই দেশে শুরু হচ্ছে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া (Vaccination Process)। প্রথম ধাপে এই টিকা পাবেন দেশের তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা। এই টিকা নেওয়ার জন্য তাঁদের দিতে হবে না এক টাকাও। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তিন কোটি ভ্যাকসিনের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে কোথা থেকে? সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক তহবিল পিএম কেয়ার ফান্ড (PM-Cares Fund)-এ জমা পড়া আর্থিক অনুদান থেকেই কেনা হচ্ছে এই বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন।

গতকালই সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield) নামক ভ্যাকসিনের ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ কেনে কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিল মাসের মধ্যে আরও ৪ কোটি ৫০ লাখ ডোজ কেনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফেও জানানো হয়, ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম এক হাজার টাকা হলেও সরকারের কাছে তা প্রতি ডোজ ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

গতকাল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই কোটি প্রথম সারির যোদ্ধাদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে। বৈঠকে তিনি বলেন, “যদি সব রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের মোট সংখ্যার হিসাব করা হয়, তা প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি পৌঁছবে। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে এই তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিতে এক টাকাও খরচ করতে হবে না, সম্পূর্ণ খরচই বহন করবে সরকার।”

আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি ‘অনুপ্রবেশ’! শীর্ষ আদালতে দাবি কেন্দ্রের

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, পিএম কেয়ার ফান্ডে জমা পড়া টাকা থেকেই কেনা হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের ডোজ। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্যের জন্য গঠিত এই তহবিলের টাকা অনত্র নয়, করোনা টিকা কিনতেই ব্যবহার করা হবে। এর আগে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ রুখতে ভেন্টিলেটরের মতো নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এই তহবিল থেকেই অর্থ খরচ করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের শুরুতেই গতবছর মার্চ মাসে আর্থিক সাহায্যের জন্য তৈরি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ সাধ্য মতো অনুদানও দিয়েছিল এই তহবিলে। কিন্তু পরবর্তীকালে এই তহবিলের বৈধতা ও আর্থিক খরচের হিসাব চেয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। তথ্যের অধিকার আইনে এই তহবিলের খরচ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সরকারের তরফে প্রথমে এই তহবিলকে বেসরকারি বলে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফের বয়ান বদলে জানানো হয়, সরকারি সংস্থার অধীনে হলেও এটি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না।

অন্যদিকে গতকালই প্রদানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেছিলেন, “তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ কেন্দ্র বহন করলেও বাকি ১২৭ কোটি দেশবাসীর কী হবে? তাঁদের ক্ষেত্রে কী রাজ্য সরকারগুলিকে এই খরচ বহন করতে হবে?”। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্নের জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: জাতীয় শিক্ষানীতি স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনে তৈরি: নরেন্দ্র মোদী