একটাও বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বেড নেই, করোনা আবহে শয্যা সঙ্কটে পুণে

সুমন মহাপাত্র |

Apr 08, 2021 | 1:06 PM

সরকারি মেডিক্যাল কলেজও ভেন্টিলেটর যুক্ত বেডে ভর্তি হতে যাওয়া রোগীদের ফেরাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে।

একটাও বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বেড নেই, করোনা আবহে শয্যা সঙ্কটে পুণে
ফাইল চিত্র

Follow Us

নাগপুর: দেশে করোনা (COVID) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশের সর্বকালীন রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। একদিনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার জন। দেশের এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলি। আগেই পুণের পিম্পরির যশন্তরাও চবন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, সেই হাসপাতালে কোনও আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই। তাই হাসপাতাল চত্ত্বরে তাঁবু খাটিয়ে অক্সিজেন দিতে হয়েছিল রোগীদের। এ বার পুণের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা খতিয়ে দেখে কার্যত কপালে হাত। কারণ সারা পুণে জুড়ে কোনও বেসরকারি হাসপাতালেই ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড নেই। স্রেফ ২৭টি আইসিইউ বেড আছে। এমনই তথ্য মিলেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত।

সরকারি হাসপাতালেও ভেন্টিলেটরযুক্ত বেডের আকাল। সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে গোটা পুণেতে স্রেফ ৩টি ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড ফাঁকা আছে। তবে সরকারি মেডিক্যাল কলেজও ভেন্টিলেটর যুক্ত বেডে ভর্তি হতে যাওয়া রোগীদের ফেরাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। আইজিজিএমসিএইচ মেডিক্যাল কলেজে করোনা আক্রান্তদের জন্য ৫৪০টি বেড রয়েছে। তবে আইজিজিএমসিএইচ হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আরও অন্তত ৩০-৪০টি আইসিইউ বেড ও ২৫ জন এমডি ডাক্তার প্রয়োজন। বিভিন্ন সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মোট শয্যার থেকে বেশি রোগীও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

গ্রাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস

ভিদারভা হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের কনভেনার ডাঃ অনুপ মারার জানিয়েছেন, নাগপুরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানে এখনই আইসিইউ বেড প্রয়োজন। তাঁর দাবি, কোভিডের কোনও স্ট্রেনের জন্যই সেখানে হু হু করে ছড়াচ্ছে কোভিড। কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রেও করোনা পরিস্থিতির জেরে হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট দেকা দিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল, নাগপুর সরকারি মেডিক্য়াল কলেজে এক বেডে চিকিৎসা হচ্ছিল দু’জন করোনা আক্রান্তর। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যাতে ভয়াবহ না হয়ে ওঠে তাই কয়েকদিন আগেই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে সংক্রমণের গতিতে রাশ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯০ জন।

আরও পড়ুন: ‘কাঁচামাল আটকে রেখেছে ইউরোপ-আমেরিকা’, টিকা সরবরাহে দেরি নিয়ে সাফাই সেরামকর্তার

Next Article