নয়া দিল্লি: দেশে করোনা (COVID) পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। গতকালই ক্রমউর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় টিকাকরণ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ভিকে পাল জানিয়েছিলেন, ভাইরাস এখনও অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। তবে এই বাড়তি করোনা সংক্রমণের সঙ্গে করোনার মিউট্যান্ট ভাইরাসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন ভিকে পাল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৮০ জন। যার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা হয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৪ জন। যার ফলে দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬৮ জন। একদিনে করোনা পরাজিত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ হাজার ২৮০ জন। দেশে এ পর্যন্ত মোট নোবেলজয়ীর সংখ্যা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০১। বাড়তি এই সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি রাজ্য নির্দিষ্ট করোনা পরীক্ষা করছে না বলেও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
বাড়তি করোনা সংক্রমণের মাঝে চিন্তা বাড়াচ্ছে ভ্যাকসিনও। অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধকে রক্ত জমাট বাঁধছে। এ খবর বেশ কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, টিকাকরণ বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। কিন্তু গতকালই রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ৫৫ বছরের কমবয়সীদের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকাকরণ স্থগিত রেখেছে কানাডা। বয়সবিধি প্রয়োগ করেছে জার্মানিও।
তবে দেশে জোরকদমে চলছে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের করোনা টিকাকরণ। এ পর্যন্ত দেশে করোনা টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৫৩ জন। এখন দেশে করোনা টিকা পাচ্ছেন ৪৫ উর্ধ্ব কো-মর্বিডিটিযুক্ত ও যাটোর্ধ্ব প্রবীণরা। পয়লা এপ্রিল থেকে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা টিকা পাবেন ৪৫ উর্ধ্ব প্রত্যেকেই।
আরও পড়ুন: সাতসকালে হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন, সরানো হল ৬০ রোগীকে