নয়া দিল্লি : দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের (COVID 19 Cases in India) সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron Variant) আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজনীয়? তারই একটি তালিকা উল্লেখ করে দিলেন ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের (NTAGI) কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান চিকিৎসক এন কে অরোরা (Dr. N K Arora)। মঙ্গলবার এই বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড-বিধি মেনে চলা, টিকাকরণে আরও গতি আনা এবং কারফিউ জারি – এই তিনটি বিষয়ে জোর দিলেই সংক্রমণের দ্রুত বিস্তারের মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে। .
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) ঠিকই অনুমান করেছে, কোভিড -১৯ সংক্রমণ আগামী দিনে বাড়তে চলেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই চিকিৎসক এন কে অরোরাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আইআইটির মডেল থেকে দেখা যায়, আগামী দিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বাস্তবে তাই ঘটছে। কোভিড আচরণ বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণের গতি আনা – এই দুটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারফিউয়ের মতো প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলিও সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।”
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি আইআইটি মাদ্রাজের একটি গাণিতিক মডেলে বলা হয়েছে, করোনা অতিমারির তৃতীয় ঢেউ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির দিকে সর্বোচ্চ হতে পারে। আইআইটি মাদ্রাজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয়ন্ত ঝাঁ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছিলেন, “ডেটা বিশ্লেষণ থেকে আমরা অনুমান করছি ১-১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণ সর্বোচ্চ থাকবে। আমাদের বিশ্লেষণটি থেকে এও দেখা গিয়েছে যে পূর্ববর্তী ঢেউগুলির তুলনায়, এবারে আরও বেশি বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা।”
দেশে ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় বা প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য আপাতত প্রিকশন ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরও করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ছোটদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন বছরের শুরুতে। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদের করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Corona Virus : ওমিক্রন ত্রাসের মধ্যেই দেশে কিছুটা কমল করোনা সংক্রমণ,বাড়ল মৃতের সংখ্যা