সিদ্ধার্থনগর: প্রথম ডোজ় কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ়ে কোভ্যাক্সিন (Covaxin) পেলেন গ্রামবাসীরা। উত্তর প্রদেশের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা একটি গ্রামে সরকারি হাসপাতালে টিকাকরণে এমনই গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সিদ্ধার্থনগর জেলায় একটি সরকারি হাসপাতালে প্রায় ২০ জন এই দু’ধরনের টিকা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও আধিকারিকদের দাবি, টিকা নেওয়ার পর কোনও ব্যক্তির শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পাশাপাশি আধিকারিকরা এ-ও জানিয়েছেন, যাঁরা এই ভুল টিকা দিয়েছেন সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীরা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছিলেন। তারপর ১৪ মে দ্বিতীয় ডোজ়ে তাঁরা পান কোভ্যাক্সিন। সিদ্ধার্থনগরের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, এটা ভুল করে হয়ে গিয়েছে। সরকার কখনওই ভ্যাকসিনের ককটেল করতে বলেনি। মুখ্য অফিসার সন্দীপ চৌধুরী বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে এই কাজের বিবৃতি চেয়েছি। যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেব।”
ভুল টিকাকরণ সম্পর্কে জানতে পেরেই চিন্তায় উদ্বীগ্ন গ্রামবাসীরা। অনেক বয়স্ক ব্যক্তিও এই ভুল টিকা পেয়েছেন। এক গ্রামবাসী জানান, এপ্রিলের ১ তারিখ তিনি কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ মে কিছু যাচাই না করেই তাঁকে কোভ্যাক্সিন দিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। ঘটনা সম্পর্কে জেনে কার্যত সন্ত্রস্ত গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, বিশ্বের একাধিক দেশে ককটেল ভ্যাকসিনেশন নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষকরা খতিয়ে দেখছেন, ভ্যাকসিনের দুই ডোজ়ে পৃথক টিকা দিলে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে কি না।
যদি এই গবেষণায় ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে কম্বিনেশন টিকাকরণে জোর দিয়ে ভ্যাকসিন সঙ্কট মেটানো যেতে পারে অনুমান গবেষকদের। চিকিৎসকরা অবশ্য এখনও একই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় দেওয়াতেই আস্থা রাখছেন। তাঁদের মতে কম্বিনেশন টিকাকরণে অসুবিধা হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপাতত যেহেতু গবেষণালব্ধ কোনও তথ্য নেই, তাই এই ভুল মেনে নেওয়া যায় না। যাঁদের ক্ষেত্রে টিকাকরণে এই গাফিলতি হয়েছে। তাঁদের আগামী কয়েকদিন পর্যেবেক্ষণে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় স্থগিত জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষা, জানাল আইআইটি খড়গপুর