AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM: জনমানসে ছাপ ফেলার মতো আন্দোলন কোথায়? পলিটব্যুরোর বৈঠকে প্রশ্নের মুখে বঙ্গ CPIM

CPIM: রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ এবং রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষের বার্তাই উঠে এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

CPIM: জনমানসে ছাপ ফেলার মতো আন্দোলন কোথায়? পলিটব্যুরোর বৈঠকে প্রশ্নের মুখে বঙ্গ CPIM
সিপিএম-এর পতাকা
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2022 | 11:19 AM
Share

কলকাতা ও নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ায়। সেই আঁচ গিয়ে পড়েছিল দিল্লি পর্যন্তও। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজধানীতে বৈঠকে বসেছে সিপিএম-এর পলিটব্যুরো। সেখানে রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ এবং রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষের বার্তাই উঠে এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের নেতৃত্বই নয়, এর পাশাপাশি কেরলের দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

রাজ্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিককালে ঘটনার ঘনঘটা। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক তাবড় নেতা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে, যা সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে। অথচ এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে মানুষকে সংগঠিত করে জনমানসে ছাপ ফেলার মতো আন্দোলন গড়ে তোলা যাচ্ছে না কেন? তা নিয়ে দিল্লির বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বাংলার প্রতিনিধিরাও ছিলেন সেখানে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বামেদের বেশ কিছু প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রভাব ফেলেছিল রাজ্যে। বিশেষ করে, বর্ধমানে কার্জন গেট চত্বরে যেভাবে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে, আন্দোলন চালিয়েছিল বামেরা, তা নিয়ে বেশ জোর চর্চা চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কার্জন গেট চত্বর থেকে যেভাবে বিশ্ব বাংলার লোগো উপড়ে ফেলা হয়েছিল, তা নিয়ে সমালোচনাতেও বিদ্ধ হতে হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে আসানসোলে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতেই দেখা গিয়েছে।

এর পাশাপাশি শুক্রবার সীতারাম ইয়েচুরি দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সিবিআই এবং ইডির তৎপরতা নিয়েও একপ্রস্থ তোপ দেগেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, “এত বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে ইডি ও সিবিআই কেন চুপ ছিল? তাদের কাছে অনেকদিন ধরেই তথ্য প্রমাণ ছিল। এত বছর ধরে তারা কিছু করেনি। এর মানে কী? অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।”