Cyclone Dana Update: কান ঘেঁষে বেরিয়েছিল ইয়াস, তাতেই তছনছ সব! দানার দাপট শুরুর আগেই ভয়ের চিত্র ধামরায়
Weather Update: ইতিমধ্যেই শুনশান এলাকা। খালি করা হয়েছে নীচু জায়গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মজুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে ওড়িশা সরকার। ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফের দল।
ধামরা: ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের। ইতিমধ্য়েই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরায়। সকাল থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বাড়ছে বাতাসের গতি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পারাদ্বীপ ৩৭০ কিলোমিটার দূরে, ধামরা থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
বাংলা-ওড়িশা উপকূলের উপর দিয়েই যাবে ‘দানা’। ওড়িশার ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝামাঝি কোথাও ঘূর্ণিঝড়ের ল্য়ান্ডফল হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই, বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরায়। আজ সকাল থেকেই বাড়ছে সেই বৃষ্টির দাপট। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ক্রমশ বাতাসের গতি বাড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ইতিমধ্যেই শুনশান এলাকা। খালি করা হয়েছে নীচু জায়গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মজুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে ওড়িশা সরকার। ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফের দল।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে এই ধামরা বন্দরের কান ঘেষেই বেরিয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সেই সময় জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল গোটা এলাকা। সেই আতঙ্ক এখনও মনে দগদগে। এবার ধামরাতেই ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। ফলে ক্ষয়ক্ষতি আরও মারাত্মক হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভিতরকণিকার উপরেও রয়েছে বিপদের ছায়া। ওড়িশার এই মানগ্রোভ অরণ্য বিখ্যাত কুমীর প্রকল্পের জন্য। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় সুন্দরবনের মানগ্রোভ অরণ্য যেভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাতে ভিতরকণিকায় ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল হলে, একই মাত্রায় বা আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলেই শঙ্কা।