রেমালের দাপট কমছেই না উত্তর-পূর্বে, ৩৭ পার মৃতের সংখ্যা, জারি লাল সতর্কতা
Cyclone Remal: অসমে ঝড়-বৃষ্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৮ জন। অসমের সোনিতপুরে একটি স্কুল বাসের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছে ১২ জন শিশু। এরপরই রাজ্য় সরকারের তরফে আজ সমস্ত স্কুল-কলেজে ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে।
গুয়াহাটি: বাংলা থেকে বিদায় নিলেও, পড়শি রাজ্যগুলিতে নিজের ভয়ঙ্কর রূপ দেখাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। অসম, মিজোরাম, মেঘালয় সহ একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ অসমের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অন্যদিকে, রেমালের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কমপক্ষে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধস ও হড়পা বানে নিখোঁজ আরও অনেকে।
রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবি ও সোমবার ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে চলে গেলেও, এর প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। অসমের উপরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এর জেরে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে লাগাতার। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মিজোরামে। আইজল, মেলথাম, হ্লিমেন, সালেম সহ একাধিক জায়গায় কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ১৫ কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, অসমে ঝড়-বৃষ্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৮ জন। অসমের সোনিতপুরে একটি স্কুল বাসের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছে ১২ জন শিশু। এরপরই রাজ্য় সরকারের তরফে আজ সমস্ত স্কুল-কলেজে ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। নাগাঁও, হোজাই, পশ্চিম কারবি, গোলাঘাট, দিমা হাসাও, কাচার, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে।
মেঘালয়ে রেমালের প্রভাবে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নাগাল্য়ান্ডেও কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ত্রিপুরায় হতাহতের খবর না মিললেও, রেমালের প্রভাবে ৭৪৬ জন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি রাজ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ।