নয়া দিল্লি: এক কথায় সন্ত্রাসময় দিন। রবিবার যেন জঙ্গিদের টার্গেট ছিল জম্মু (Jammu)। একের পর এক হামলা ও নাশকতার ছক উঠে এল স্রেফ ওই দিনই। শনিবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে প্রথমে জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, তারপর নরবালে আইইডি-সহ গ্রেফতার, তারপর জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে জঙ্গি হামলা। একদিনেই জঙ্গি কার্যকলাপে জেরবার উপত্যকা।
পুলওয়ামায় স্পেশাল পুলিশ অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী-কন্যা সমতে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই শহিদ হন পুলিশ অফিসার ফয়াজ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে স্ত্রী তারপর মেয়েও প্রাণ হারালেন। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ফয়াজের বাড়িতে ঢোকে জঙ্গিরা। তারপর নাগাড়ে গুলি চালায় তারা। জোড়া বিস্ফোরণের দিনই কেন স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে হামলা, তা ভাবাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, অবন্তিপোরার হরিপরিগ্রামে সপরিবারে থাকতেন ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলে তল্লাশি অভিযানও। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, জম্মু এয়ারপোর্টে শনিবার প্রথম বিস্ফোরণটি হয় ১টা ৩৭ মিনিটে, পরবর্তী বিস্ফোরণ হয় ১টা ৪৩ মিনিটে। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আহত হন ২ বায়ুসেনা আধিকারিক। তাঁরা আপাতত সুস্থ আছেন বলেই জানা গিয়েছে। যে অঞ্চলে বিস্ফোরণ হয়, সেটি ছিল জম্মু এয়ারপোর্টের হ্যাঙ্গার। অর্থাৎ সেখানে থাকত বায়ুসেনার কপ্টার। তাই প্রশ্ন উঠছে জঙ্গিদের ড্রোনের কি টার্গেট ছিল বায়ুসেনার কপ্টার? উঠে আসছে পাক যোগের সম্ভাবনাও। কারণ নরবাল থেকে যে জঙ্গিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র রয়েছে বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জোর করেই ঘরে ঢোকে সন্ত্রাসবাদীরা, এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত স্পেশাল অফিসারের স্ত্রীও