স্পিকার সাক্ষাতের পর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চিরাগ, কাকা না ভাইপো, পাল্লা ভারী কার?

নয়া দিল্লি: দলের ন্য়াশনাল এগজ়িকিউটিভদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan)। দিল্লিতে চলছে বৈঠক। চিরাগের বিরুদ্ধে ৫ সাংসদ বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর চেষ্টা করেও ড্যামেজ রিপেয়ারিং করতে পারেননি রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র। লোক জনশক্তি পার্টির ৬ সাংসদের মধ্যে চিরাগ ছাড়া বাকি ৫ জনই দলের নেতা হিসেবে পশুপতি পরসকে বেছে নিয়েছিলেন। যিনি সম্পর্কে চিরাগের কাকা। তারপর কাকার দ্বারস্থ হলেও মন গলেনি পশুপতির।

৫ সাংসদ চিঠি লিখে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়েছেন, তাঁদের পৃথক গ্রুপ হিসেবে দেখতে। এরপরই মাকে এলজেপির জাতীয় প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব নিয়ে কাকা পশুপতি পরসের কাছে যান চিরাগ। কিন্তু মিনিট ৪৫ দাঁড়িয়েও কাকার দেখা পাননি তিনি। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে চিরাগ হুঙ্কার ছাড়েন, “আমি রামবিলাস পুত্র, শের কা বচ্চা।” ৫ সাংসদ বিরুদ্ধে গেলেও ৯০ শতাংশ ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভরা চিরাগের পক্ষে আছেন বলেই দাবি চিরাগের।

যদিও কী করে ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ মিটিং ডাকতে পারেন চিরাগ? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পশুপতি পক্ষ। চিরাগকে ন্যাসনাল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন সাংসদরা। সেখানে নতুন সভাপতি হয়েছেন সূরয ভান। তাহলে কী করে এই বৈঠক হতে পারে সে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পশুপতি পক্ষ। এজানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষে দলের দায়িত্ব পুরোপুরি ভাবে চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরসের হাতে চলে যাবে। লোকসভায় চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপির মোট ৬ জন সাংসদ। এর মধ্যে ৫ জনই দলের নেতা হিসেবে চান চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরসকে। তাঁরা ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে তাঁদের ভিন্ন দল হিসেবে দেখতে আবেদন করেছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে চিরাগের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। একই দলে থাকলেও কাকা-ভাইপোর মধ্যে কথাবার্তা কার্যত বন্ধ ছিল এতদিন। যা কথা হত সব চিঠির মাধ্যমে। সূত্র অনুযায়ী, তলে তলে ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন পশুপতি, মন্ত্রীসভায় তাঁকে জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে পশুপতি পরসের মন্তব্য। খোদ তিনিই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সমর্থন এনডিএ জোটে। এলজেপি পার্টিকে বাঁচাতেই ৫ সাংসদকে বুঝিয়ে চিড় সামলেছেন পশুপতি। এমনই দাবি তাঁর। গত বছর বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর প্রতিশোধ নিল জেডিইউ। এমনটা মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় চিরাগ। সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন, লম্বা আইনি যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত তিনি। এ দিকে বিহারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাসোয়ান ভোট। সেই ভোট রামবিলাস পুত্র চিরাগের সঙ্গে আছেই বলে দাবি তাঁর। বিজেপি নেতৃত্বও এ কথা মানছে যে বিহারে পাসোয়ান ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই নীতীশ কুমারের সঙ্গে পশুপতি জোট নিয়েও তুঙ্গে উঠছে জল্পনা।

আরও পড়ুন: ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে এসবিআই ডিজিটাল পরিষেবা, এই সময় যেন লেনদেন না করেন!