
নয়া দিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে গোয়েন্দাদের হাতে নয়া তথ্য। বিস্ফোরণস্থল থেকে মেলেনি কোনও স্প্লিন্টার বা শার্প নেল। তাতে গোয়েন্দারা মনে করছেন, তবে কি কোনও পূর্ব পরিকল্পনা করে নয়, জঙ্গি মডিউলের বাকি সদস্যরা ধরা পড়ে যাওয়ায় ভয়ে পালাতে গিয়েছিলেন উমর নবি। তাড়াহুড়োতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এমনটা মনে করছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু এই তথ্য নিয়ে কী ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা? TV9 বাংলা কথা বলেছিল স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্ট শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট যে ফরম্যাটে পাওয়া যায়, সেই ফরম্যাটেই বিস্ফোরণ ঘটায় না। দুটোর মধ্যে কেমিক্যাল স্টেট আলাদা হয়। বিস্ফোরকে পরিণত করার জন্য একটা জেলি ক্রিস্টালাইজেশন প্রসেস চলে। অর্থাৎ একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনও তরল বা দ্রবণ থেকে একটি কঠিন পদার্থের স্ফটিক তৈরি হয়। এই সময়ে খুবই সহজলভ্য কিছু রাসায়নিক দেওয়া হয়, যেটা কিনা পরবর্তীতে বিস্ফোরকে পরিণত করতে সাহায্য করে। গাড়িটাকে যেভাবে বিস্ফোরক হিসাবে ব্যবহৃত করা হয়।
শুভাশিসের কথায়, “আমার মনে হচ্ছে, ওখানে বিস্ফোরণ করানোর জন্য কতটা প্রস্তুত ছিল, সেটা সন্দেহজনক। তাড়াহুড়ো মধ্যে ডিটোনেট করতে গিয়েছে, সেটা নাও হতে পারে। যেটা হতে পারে, মবিলিটির সময়ে প্রস্তুত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কোনও একটি রাসায়নিকের সংস্পর্শে চলে এসেছে। আর তাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।” বিশেষজ্ঞদের এমনটা মনে করার একটাই কারণ, যেহেতু এলাকা থেকে কোনও স্প্লিন্টার কিংবা শার্প নেল উদ্ধার হয়নি। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময়ে গাড়িটি চলন্ত ছিল। সেক্ষেত্রে গোয়েন্দারা এটাও মনে করছেন, পূর্ব পরিকল্পিত বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। গাড়ি চলন্ত থাকে না। সেক্ষেত্রে সত্যিই এই বিস্ফোরণ আকস্মিক কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।