Delhi Blast: প্রতিবার সোমবার বন্ধ থাকে, কিন্তু কাল কেন খোলা ছিল লালকেল্লার পার্কিং লট? সরষের মধ্যেই ভূত?
Delhi Blast: তদন্তকারীরা মনে করছেন, সোমবার ভিড় ছিল। তাই আলাদা করে তাঁদের কাউকেই পার্কিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিছু সংখ্যক গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেদিন পার্কিং লট বন্ধ থাকে, সেদিনও কিছু গাড়ি এসে সেখানে দাঁড়ায়। এলাকারই কয়েকজন ঠিকাদার সেটা চালায়।

নয়া দিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণে লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং লট ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছে। জানা যাচ্ছে, সোমবার বন্ধ থাকে লালকেল্লার পার্কিং লট। তাহলে গতকাল কেন খোলা ছিল? তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ২০টি গাড়ি তিন ঘণ্টা ধরে পার্কিং লটে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সেটাও কেন? সোমবার সাধারণ দিল্লির অনান্য বাজার বন্ধ থাকে। কিন্তু খোলা ছিল বিস্ফোরণস্থল সংলগ্ন বাজার। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেটা জেনেই হয়তো এই বাজারকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন এই পার্কিং লট খোলা ছিল? তাহলে কি সরষের মধ্যেই কোথাও ভূত?
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সোমবার ভিড় ছিল। তাই আলাদা করে তাঁদের কাউকেই পার্কিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিছু সংখ্যক গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেদিন পার্কিং লট বন্ধ থাকে, সেদিনও কিছু গাড়ি এসে সেখানে দাঁড়ায়। এলাকারই কয়েকজন ঠিকাদার সেটা চালায়। তাহলে কি ওই ঠিকাদারদেরই মধ্যে কেউ জড়িত রয়েছে? তদন্তকারীরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা যাচ্ছে, সিগন্যালে দাঁড়ানোর আগে পার্কিং লটে প্রায় তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিল ওই গাড়ি। গাড়ির ভিতর বসেছিলেন নবি। গাড়ি থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নামেননি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ডাক্তার উমর হয়তো কারোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অথবা তিনি পার্কিং লটে নির্দেশের অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু এই গাড়ি অনেক হাত ঘুরে এসেছিল উমরের হাতে। এই গাড়ির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছয় হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের কাছে। তাঁর নামেই গাড়িটি। তাঁকে আটক করে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই তিনি এই গাড়িটি সাউথ দিল্লির বাসিন্দা দেবেন্দ্র নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। তারপর সেটি জম্মু কাশ্মীরের অম্বলার বাসিন্দা তারিকের কাছে বিক্রি করে দেন। তারিকের আবার ফরিদাবাদে গাড়ি কেনাবেচার একটা সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাকে থেকে গাড়ি কেনেন আমির। আমির পেশায় কলমিস্ত্রি। গাড়ির চাবি হাতে যাঁর ছবি ভাইরাল হয়েছে, তিনিই আত্মঘাতী উমর নবির আত্মীয়। জানা যাচ্ছে, আদতে নবিই আমিরের নামে গাড়িটা কেনেন। গতকালের ঘটনার পর আমির ও তাঁর ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, আমির তিন বছর কাশ্মীরে ছিলেন না, এই মাঝের সময়ে তিনি কোথায় ছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে উল্লেখ্য, গাড়ির নম্বর প্লেট ও নাম এখন মহম্মদ সলমনের নামেই । তারিককেও আপাতত আটক করেছে পুলিশ।
