কেজরীবালের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ, কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন প্রহ্লাদ পটেল
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল অভিযোগ করেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ভিডিয়ো কনফারেন্সে জাতীয় পতাকার কেবল সবুজ অংশটিকেই বড় করে দেখানো হয় এবং মাঝের সাদা অংশটিকে ছোট করে দেখানো হয়। এটি ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি অত্যন্ত অমাননাকর।
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজধানীতে অক্সিজেন ও টিকার অভাব দেখা দেওয়ার পরই চরমে উঠেছিল কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)-র বিবাদ। এ বার কেজরীবালের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল (Prahlad Patel)।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে জাতীয় পতাকার কেবল সবুজ অংশটিকেই বড় করে দেখানো হয় এবং মাঝের সাদা অংশটিকে ছোট করে দেখানো হয়। এটি ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি অত্যন্ত অমাননাকর। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের কাছে চিঠি লিখেছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকাকে কেবল ঘর সাজানোর জন্য ব্যবহার করছেন, এই অভিযোগ এনে প্রহ্লাদ পটেল বলেন, “যখনই মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বৈঠক করেন, আমার নজর ওনার চেয়ারের পিছনে রাখা জাতীয় পতাকার দিকে চলে যায়। প্রতিবারই দেখা যায় যে জাতীয় পতাকার মাঝের অংশটি সবুজ অংশে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ ও জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর। আমি ওই গোটা বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দৃষ্টিপাত করতে বলছি। আমি জানিনা উনি অজান্তে নাকি স্বেচ্ছায় বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।”
যদিও এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও কোনও জবাব মেলেনি। এদিকে, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে করোনা মোকাবিলায় “ভ্রান্ত ধারণা ও সঠিক তথ্য” নিয়ে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়। সেখানে নাম না উল্লেখ করেই “কয়েকজন নেতা”কে আক্রমণ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “কয়েকজন নেতা ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে সম্পূর্ণ জেনেও প্রতিদিন টিভির সামনে বসে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”